প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবেন বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশীরা
প্রথম নিউজ, ঢাকা : চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩৫ করার দাবিতে আজ ফের প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবেন ৩৫ প্রত্যাশীরা। মঙ্গলবার (৭ মে) বিকেল সাড়ে চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এই কর্মসূচি পালন করার কথা রয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের মুখপাত্র মো. শরিফুল হাসান শুভ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ‘৩০ এর শৃঙ্খল থেকে মুক্তি চায় ছাত্র সমাজ’ নামক অহিংস অভিনব কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।
আমাদের এই দাবিতে সাড়া দিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর ডিও লেটার দিয়েছেন। সেই সঙ্গে দাবি বাস্তবায়নে স্থানীয় সংসদ সদস্য, বিভিন্ন পেশাজীবী ও ছাত্র সংগঠনের লিখিত সুপারিশের ভিত্তিতে দ্রুত প্রজ্ঞাপন চেয়ে ছাত্র সমাজের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবেদন করছি।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ঢাকা মেডিকেলসহ গুটি কয়েক বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩-২৪ বছর বয়সে পড়াশোনা শেষ হলেও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থীকে স্নাতক সম্পন্ন করতে অনেক ক্ষেত্রে ২৫-২৭ বছর লেগে যাচ্ছে। এই সার্টিফিকেটের মূল্য ৩০ বছরে শেষ করে দিচ্ছে রাষ্ট্র। যা অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর যথেষ্ট সময় নয়। তাছাড়া আমরা এখন উন্নত, স্মার্ট এবং মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছি। অথচ ৩০ বছরের নিয়মে বাধা থাকায় একজন শিক্ষার্থী চাইলেও উন্নত দেশের ডিগ্রি নিয়ে এসে দেশের সেবায় নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর ৩০ বছরে সার্টিফিকেটের মেয়াদ শেষ হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হতাশা, আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে। দেশের বাইরে পাড়ি জমাচ্ছেন অনেক মেধাবি।
তাই আজ আমরা প্রতীকী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত শুক্রবার (৩ মে) আগামী ১১ মে সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই শিক্ষার্থী সমাবেশ করার ঘোষণা দেন তারা। চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ বছর (বিজেএস, ডাক্তার, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩৭ বছর), পুলিশের এসআই ও সার্জেন্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ বছর পর্যন্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়াসহ অন্যান্য দাবি মেনে না নিলে এমন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।