প্রাণহানিতে হুকুমদাতাদের আন্তর্জাতিকভাবে জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবি

 প্রাণহানিতে হুকুমদাতাদের আন্তর্জাতিকভাবে জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবি

প্রথম নিউজ, ঢাকা : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নজিরবিহীন প্রাণহানিসহ বহুমাত্রিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সরাসরি ও হুকুমের অপরাধে দায়ী সবাইকে জাতিসংঘের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য জবাবদিহি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)

বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ’ দুর্নীতি প্রতিরোধ, গণতন্ত্র ও সুশাসন শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রস্তাব জানিয়েছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য জবাবদিহীতা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে বিচারপ্রক্রিয়া যেন কোনোভাবে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেটি নিশ্চিতে যথাযথ আইনসম্মত-প্রক্রিয়া অনুসরণ করা নিশ্চিত করতে হবে।

টিআইবি জানায়, বর্তমান সরকারে আশু প্রাধান্য কাজগুলো হলো, শান্তি-শৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা ও প্রশাসনিক স্বাভাবিকতা নিশ্চিত করা। এছাড়া অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি ও অর্থপাচারের কার্যকর জবাবদিহির অনুকরণীয় উদাহরণ স্থাপনে দুদক, বিএফআইইউ, এনবিআর, সিআইডি ও অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের সমন্বয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা। ‘নতুন বাংলাদেশ’ এর অভিষ্ট ও লক্ষ্য অর্জনে রাষ্ট্র-সংস্কারের অপরিহার্য কাঠামো বিনির্মাণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কৌশলপত্র প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে সাংবাদিকদের জেলে পাঠানো হয়েছে৷ এই সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। একদিনে সব কিছুর পরিবর্তন হবে না। সাংস্কৃতিক পরিবর্তন সহজেই হয়ে যাবে না। যে ধরনের মামলা করে আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা অভ্যস্ত হয়ে গেছে সেই ধরনের মামলাই হচ্ছে। এই মামলা আদালতে টিকবে কি না সেটির দিকে খেয়াল নেই। আন্দোলনের মূল চেতনা সবাইকে ধারণ করতে হবে।

এসময় রাষ্ট্র সংস্কারে বেশ কিছু সুপারিশমালা প্রস্তাবনা আকারে তুলে ধরে টিআইবি। এই কৌশলগত প্রস্তাবনার ধারাবাহিকতায় টিআইবি আরও সুনির্দিষ্টভাবে খাত ও প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করতে আগ্রহী বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।