নোয়াখালীতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে বিপাকে রোগীরা
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিনকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় চিকিৎসক-নার্সরা কর্মবিরতি পালন করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা।
প্রথম নিউজ, নোয়াখালী : ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা কার্যক্রম ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. হেলাল উদ্দিনকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় চিকিৎসক-নার্সরা কর্মবিরতি পালন করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। রোববার (২৮ নভেম্বর) রাতে সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে। বিনাচিকিৎসায় কাতরাচ্ছেন রোগীরা। নোয়াখালী ইউনিয়ন থেকে চিকিৎসা নিতে আসা আবুল খায়ের জানান, অসুস্থতা নিয়ে সকালে হাসপাতালে ভর্তি হন। দুপুরে ডাক্তার আসার কথা থাকলেও গণ্ডগোলের পর আর কেউ আসেনি। একটা ইনজেকশন দিবে যে সে রকমও কেউ আসেনি।
চানগাঁও এলাকার মোবারক উল্যাহ জানান, দুপুরে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে এসে দেখেন চিকিৎসকদের ধর্মঘট চলছে। অনেক রোগী অন্য হাসপাতালে গেলেও টাকার অভাবে প্রাইভেট হাসপাতালে যেতে পারেননি তিনি। এরআগে রোববার দুপুরে হাসপাতালের এমএসআর সামগ্রী ক্রয়ের দরপত্র কিনতে গিয়ে তত্ত্বাবধায়কের ডা. মো. হেলাল উদ্দিনকে লাঞ্ছিত করেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন ও তার অনুসারীরা। এ ঘটনার পর হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে কর্মস্থল থেকে সরে পড়েন। এতে সমগ্র জেলার নয় উপজেলা থেকে আগত রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আবদুল আজিম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীনের উপস্থিতিতে তার লোকজন তত্ত্বাবধায়ককে লাঞ্ছিত ও হত্যাচেষ্টার বিচার না হওয়া পর্যন্ত কেউ কাজে ফিরবে না। এদিকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী নোয়াখালীর চিকিৎসকদের আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: