নারী ফুটবলারদের মারধর : দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

 নারী ফুটবলারদের মারধর : দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : খুলনায় বিভাগীয় অনূর্ধ্ব-১৭ দলের চার নারী ফুটবলারকে মারধরের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে আমরাই পারি জোট। এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। 

আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো জোটের এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

সংস্থাটির চেয়ারপারসন সুলতানা কামাল ও প্রধান নির্বাহী জিনাত আরা বলেন, গত ২৯ জুলাই সন্ধ্যায় খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার তেঁতুলতলা স্কুল মাঠে স্থানীয় কয়েকজন যুবক হামলা চালিয়ে চার নারী ফুটবলারকে আহত করেছেন। বর্বরোচিত এ হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মেয়েরা যখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জন করছে তখন দেশের অভ্যন্তরে নারী ফুটবলারদের হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। নারী ফুটবলারদের ওপর হামলার ঘটনার পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদেরও অপদস্থ হতে হয়েছে।

এ ধরনের হামলা নারীর সুস্থ ও সাবলীল বেড়ে ওঠাকে বিঘ্নিত করছে উল্লেখ করে ফুটবলারদের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছে আমরাই পারি জোট।

যারা নারী খেলোয়াড়দের অপদস্থ করছে, খেলাধুলার বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বানও জানিয়েছে এ জোট। এ ছাড়াও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার ও নারী ফুটবলারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে প্রশাসনের প্রতি দাবি জানায় সস্থাটি।  

এর আগে গত ২৯ জুলাই স্থানীয় তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির চার ফুটবলার সাদিয়া নাসরিন, মঙ্গলী, হাজেরা ও জুঁই মারধরের শিকার হন। এ ঘটনার পরদিন (৩০ জুলাই) সাদিয়া নাসরিন বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে বটিয়াঘাটা থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামিরা হলেন- নূপুর, তার বাবা নূর আলম খাঁ, ভাই সালাউদ্দিন ও নূপুরের মা রঞ্জি বেগম। মামলার পর নূর আলমকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

অ্যাসিড নিক্ষেপের হুমকি
মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন আসামিরা। মামলা তুলে না নিলে এই ফুটবলারদের শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই হুমকি আসার পর মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী নারী ফুটবলার সাদিয়া নাসরিন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।  

সাদিয়া নাসরিন বলেন, হামলাকারী সালাউদ্দিন আমাদের হত্যার হুমকি দিয়েছে। মামলা তুলে না নিলে এসিড মেরে মুখ ঝলসে দেওয়ারও ভয় দেখিয়েছে। এছাড়া তারা নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করে আমাকেসহ আমার টিমের সদস্যদের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করবে বলেও হুমকি দিয়েছে। এরপর তারা গালিগালাজ করে চলে যায়। আমি সোমবারই থানায় জিডি করেছি। এ ঘটনায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন।