নিখোঁজের ১৮ দিন পর কঙ্কাল উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় যাত্রী সেজে অটোতে উঠে রেনউইক বাঁধে নিয়ে চালককে হত্যা!
প্রথম নিউজ, কুষ্টিয়া: কুষ্টিয়া থেকে নিখোঁজ এর ১৮ দিন পর চুয়াডাঙ্গা জেলা থেকে সবুজ মন্ডল (৩০) নামের ইজিবাইক চালকের গলিত লাশের হাড্ডি কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল (০৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন ঘোড়ামারা ব্রিজের অদুরে একটি পরিত্যাক্ত জঙ্গলের মধ্যে থেকে ইজিবাইক চালকের বস্তা বন্দী গলিত লাশের হাড্ডি কঙ্কাল উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও মিরপুর থানা পুলিশ। নিহত ইজিবাইক চালক সবুজ কুষ্টিয়া শহরতলীর বাড়াদী এলাকার মুখার্জী সড়ক এলাকার বাচ্চু মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার মামলা নাম্বার ১৯,তারিখ,, ১২/০৭/২০২৩ ইং আকরাম খাঁ নামের এক অটোচালক হত্যা মামলার আসামি বারখাদা ত্রিমোহনী নজরুল ইসলাম ছেলে জনি হোসেন (২৮) ও বাড়াদী কানাবিল শফিকুল ইসলাম এর ছেলে তুষার ইসলাম (২১) কে রিমান্ডে নেয় মিরপুর থানা পুলিশ।
মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এসআই সুফল সরকার জানান, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ এর এক পর্যায়ে নিখোঁজ অটোচালক সবুজের অটো ছিনতাই ও হত্যার কথা স্বীকার করে আসামীরা । তাদের দেয়া তথ্য মতে বৃহস্পতিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা সদরে লাশ উদ্ধারে অভিযান চালায় কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ। দীর্ঘ সময় অভিযানের একপর্যায়ে আসামিদের দেখিয়ে দেওয়া জায়গা থেকে নিহত অটো চালক সবুজের শরীরের বিচ্ছিন্ন হাড় উদ্ধার করে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, গত ১৯ আগস্ট কুষ্টিয়ার চৌড়হাস থেকে যাত্রী সেজে অটোতে উঠে কুষ্টিয়ার রেইনিক বাঁধে নিয়ে গিয়ে আটোচালক সবুজকে হত্যা করে তারা। পরে লাশ টি বস্তার ভিতর করে একটি অ্যাম্বুলেন্স এর মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সামনে সড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। নিহত অটোচালক সবুজের পরিবারের লোকজন তার লুঙ্গি ও গেঞ্জি দেখে লাশ সনাক্ত করে।এ ঘটনায় এম্বুলেন্স এর ড্রাইভার মিরপুর এর চারুলিয়া এলাকার সরোয়ার প্রামানিকের ছেলে বাচ্চু প্রামানিক (২৬) নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, গত ১৯ আগষ্ট ভাড়া মারার জন্য ইজিবাইক নিয়ে বাড়ী থেকে বের হন সবুজ । পরে আর বাড়ীতে ফেরত আসেন নি।
এ বিষয়ে নিখোঁজের একদিন পরে সবুজের মা রেহানা আক্তার কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি জিডি দায়ের করেন যার জিডি নং- ১৫৩৭, তারিখ- ২০/৮/২০২৩। তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তার পরিবার। কিন্তু তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকেই তার আর খোঁজ মিলেনি । পুলিশের অভিযানের পর সবুজের লাশ চুয়াডাঙ্গা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে৷
