নওগাঁয় ঝড়-বৃষ্টিতে আমে আশীর্বাদ, ধানে ব্যাপক ক্ষতি

শেষ রাতে ঝোড়ো হাওয়ায় মাঠের প্রায় ৯০ শতাংশ ধান মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। এতে করে ধানচাষিদের গুনতে হবে বাড়তি টাকা।

নওগাঁয় ঝড়-বৃষ্টিতে আমে আশীর্বাদ, ধানে ব্যাপক ক্ষতি

প্রথম নিউজ, নওগাঁ: নওগাঁয় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টি হওয়ায় আমের উপকার হলেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ধানের। আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে কালবৈশাখীর তাণ্ডব শুরু হয়। আজ সরেজমিনে দেখা যায়, শেষ রাতে ঝোড়ো হাওয়ায় মাঠের প্রায় ৯০ শতাংশ ধান মাটিতে নুইয়ে পড়েছে। এতে করে ধানচাষিদের গুনতে হবে বাড়তি টাকা।

রানীনগর উপজেলার বড়খোল গ্রামের ধানচাষি সাদ্দাম হোসেন বলেন, বুধবার শেষ রাতের ঝড় আর বৃষ্টিতে ১২ বিঘা জমির আধাপাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আর কিছু দিন পরে ধান কেটে ঘরে তোলা হবে। কিন্তু হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে জমির সব ধানগাছ মাটিতে পড়ে গেছে। এখন এই জমির ধান কাটতে আমাকে বাড়তি টাকা গুনতে হবে।

সদর উপজেলা ও রানীনগর উপজেলার ধানচাষিরা জানায়, আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অনেক কষ্ট করে ইরি-বোরো ধান চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মাঠে এবার ধানের ফলন ভালো ছিল। সবে মাত্র মাঠে ধান পাকতে শুরু করেছে। কিছু মাঠে ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে এই এলাকাগুলোতে ধান কাটার ভরা মৌসুম শুরু হয়ে যেত। কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে আমাদের মাঠের ধান সব জমির সঙ্গে লেগে গেছে।

পত্নীতলা উপজেলার আমচাষি হান্নান, মামুনসহ আরও কয়েকজন জানান, প্রথম দিকে ঝড় হাওয়াতে আমের কিছুটা ক্ষতি হলেও পরে বৃষ্টি হওয়াতে তা আশীর্বাদে পরিণত হয়েছে। এ বছর প্রচণ্ড খরা আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে গাছের অনেক আম ঝরে গেছে। মাটির রস শুকিয়ে যাওয়ায় বাগানগুলোতে পানিশূন্যতা দেখা দিয়েছিল। তবে রাতের  বৃষ্টির কারণে সেচ খরচ কমে আসছে। আর আমের অনেক উপকার হয়েছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ  বলেন, মাঠের প্রায় সব ধান জমিতে শুয়ে পড়েছে। তবে পাকা এবং আধা পাকা হওয়ায় ধানের খুব একটা ক্ষতি হবে না। তিনি আরও বলেন, এই বৃষ্টির কারণে আমের অনেক উপকার হবে বলে মনে করি।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom