দেশে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই: জিএম কাদের

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান কার্যালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

দেশে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই: জিএম কাদের

প্রথম নিউজ, ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপ-নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দেশে ঔপনিবেশিক শাসন ব্যবস্থা চালু করেছে। ওই সময় মানুষকে শোষণ করতে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হতো। প্রশাসকদের জবাবদিহিতা থাকতো সরকারের কাছে, কারণ সাধারণ মানুষের কাছে প্রশাসকদের কোনো জবাবদিহিতা থাকে না। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই। সব ক্ষেত্রে প্রসাশক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, রাজনীতিবিদদের কোনো কর্তৃত্ব নেই। তাই দেশের জনগণের কাছে কারও জবাবদিহিতাও নেই।

আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান কার্যালয় মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আলোকিত মানুষ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমিন সুলতানা তুলির নেতৃত্বে একদল নারী উদ্যোক্তা জিএম কাদেরের হাতে ফুল দিয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। পরে তাদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য দেন জাপা চেয়ারম্যান।

জিএম কাদের বলেন, কর্তৃত্ববাদী সরকারের সামনে প্রশাসন বা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো অসহায় হয়ে পড়ে। তাই কর্তৃত্ববাদী সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা আছে। ইতোমধ্যেই সরকার প্রধান ঘোষণা করেছেন- আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন ইভিএমে। সবগুলো আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ না করলেও, যে সকল আসনে সরকার দলীয় প্রার্থীরা প্রকাশ্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না সেখানে হয়তো ইভিএমমে ভোটগ্রহণ চলবে। 

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, জাতীয় পার্টি প্রহসনের নির্বাচন চায় না। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলকে আলোচনার জন্য ডাকা হলে, আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংলাপে অংশ নেবো। 

জিএম কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আদর্শগত পার্থক্য থাকলেও, চরিত্রগত কোনো পার্থক্য নেই। দল দুটি দুর্নীতি, দুঃশাসন, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও দলবাজি করে মানুষের মাঝে বিভেদ তৈরি করেছে। তারা বারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় গিয়ে দেশের মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। দেশের মানুষের কোনো অধিকার নেই, নিরাপত্তা নেই। হাসপাতালের জন্য বড় বড় ভবন তৈরি হচ্ছে, কিন্তু ডাক্তার ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করা হচ্ছে, কিন্তু সেখানে লেখাপড়া নেই, ছাত্রদের শুধু পাস করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার মাদক নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। অভিযোগ আছে জাতিকে ধ্বংস করতে মাদক বিস্তারে ক্ষমতাশীনরা জড়িত। 

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি কোন জোটে যাবে তা নির্বাচনের পূর্বে পরিস্থিতি ও সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে বর্তমানে ৩০০ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েই রাজনীতির মাঠে এগিয়ে চলছে জাতীয় পার্টি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, সৈয়দ দিদার বখত, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা শেরীফা কাদের প্রমুখ।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom