দেশ একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে হাঁটছে

প্রথম নিউজ, অনলাইন: দেশ এখন একটি সর্বজন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে হাঁটছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। গতকাল রাজধানীতে নাগরিক ঐক্যের কার্যালয়ের সংলগ্ন অডিটোরিয়ামে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক প্রতিনিধি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এই প্রতিনিধি সভায় সারাদেশ থেকে ২০টি জেলা এবং জেলা অন্তর্গত ৮৫টি উপজেলার ১৮২ জন যোগদান করেন। সভার মূল আলোচ্য বিষয় ছিল ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান এবং বাংলাদেশের রাজনীতি’। এ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কমিটি একই শিরোনামে ৬৪ পৃষ্ঠার একটি পুস্তিকা প্রকাশ করা হয়। যা উপস্থিত প্রতিনিধিদের মাঝে বিতরণ করা হয়। 

সভায় শুরুতে মাহমুদুর রহমান মান্না জুলাই ছাত্র গণঅভ্যুত্থানের পটভূমি এবং বর্তমানে তার পরিস্থিতির উপরে একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। বলেন, ৫ই আগস্ট ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নতুন সরকার গঠনের ক্ষেত্রে ৮ আগস্ট পর্যন্ত সময় লেগেছিল। তারপরও বলতে হবে অভ্যুত্থান ছিল একটি নিছিদ্র শৃঙ্খলার অনন্য উদাহরণ। বিতর্ক অবশ্য উঠেছিল, এতো বড় অভ্যুত্থানের পরেও শেখ হাসিনার বাধ্যগত রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে কেন শপথ নেয়া হলো। এ কথা মানতে হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চিন্তা থেকে যারা অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছে, তারা যথাসাধ্য প্রকারে একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করবার চেষ্টা করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেছেন যে, গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে তিনি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাখতে চান। এজন্য দেশ এখন একটি সর্বজন ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে হাঁটছে এবং সেলক্ষ্যে সংস্কার একটি অত্যাবশ্যকীয় পদক্ষেপ যা লাফিয়ে পাড় হওয়া যাবে না। 

মান্না বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান মূলত ১৫ বছর ধরে চলা শেখ হাসিনার জুলুমের শাসন, গ্রেপ্তার, নির্যাতন, হত্যা, ক্রসফায়ার, আয়নাঘর, কোটি কোটি টাকা লুটপাটের বিরুদ্ধে জনতার পুঞ্জীভূত বিক্ষোভের ফসল। এই অভ্যুত্থান কোন সুপরিকল্পিত বিষয় ছিল না। ছিল জানবাজি লড়াইয়ের স্বতঃস্ফূর্ত সাহসী আত্মদান এবং হার না মানা লড়াইয়ের এক অনন্য উদাহরণ। যার ফলশ্রুতিতে পৃথিবীর ইতিহাসে বর্বর, ঘৃণ্য এবং নৃশংস স্বৈরশাসকের পতন ঘটে। 

নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর কাদিরের পরিচালনায় দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রউফ মান্নান, জিন্নুর আহমেদ চৌধুরী দিপু, মোফাখ্খারুল ইসলাম নবাব, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হাসান, সাকিব আনোয়ার, দপ্তর সম্পাদক মহিদুজ্জামান মহিদ, নারী ঐক্যের আহ্বায়ক শাহনাজ হক রানু, সদস্য সচিব ফেরদৌসী আক্তার সুমিসহ সারাদেশ থেকে আগত ১৯ জন প্রতিনিধি।