তলবি সভায় সুপ্রিম কোর্ট বারের নতুন কমিটি ঘোষণা
রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে সমিতির সাধারণ সদস্যদের এক তলবি সভায় এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: সাধারণ আইনজীবীদের তলবি সভায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সেশনের বাকি মেয়াদের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি হয়েছেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রোববার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে সমিতির সাধারণ সদস্যদের এক তলবি সভায় এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
কমিটিতে সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির মঞ্জু ও সরকার তাহমিনা বেগম সন্ধ্যা, ট্রেজারার পদে রেজাউল করিম রেজা, সহ-সম্পাদক পদে মো. মাহফুজুর রহমান (মিলন) ও মো. আবদুল করিম, সদস্য হিসেবে সৈয়দ ফজলে এলাহি অভি, এবিএম ইব্রাহিম খলিল, ফাতেমা আক্তার, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. আশিকুজ্জামান নজরুল, মহিউদ্দিন মো. হানিফ ও রাসেল আহম্মেদকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি ড. রফিকুল ইসলাম মেহেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তলবি সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, ব্যাপক জালিয়াতি ও কারচুপি, গ্রেপ্তারের আতঙ্ক দেখিয়ে প্রার্থীদেরও কেন্দ্রে আসা থেকে বিরত রাখে, ইলেকশন পুনঃগণনার আবেদন বার বার করা হয়, ভোট গণনার নাটক সাজিয়ে সকল প্রার্থীকে নিরপেক্ষ ইলেকশন সাব-কমিটির অনুপস্থিতিতে তথাকথিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সেহেতু উক্ত কমিটি অবিলম্বে দায়িত্ব গ্রহণ করবে এবং অত্র সমিতির ২০২৪-২৫ এর কার্যনির্বাহী কমিটি হিসেবে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
তলবি সভার সিদ্ধান্তে আরও বলা হয়, গত ৬ ও ৭ই মার্চ অনুষ্ঠিত সমিতির নির্বাচনের ভোট গণনার বিষয়টি পুরোপুরি ত্রুটিপূর্ণ, জালিয়াতিপূর্ণ এবং জোরপূর্বক ভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় যা অত্যন্ত অনাকাক্সিক্ষত এবং সুপ্রিম কোর্টের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে। উক্ত ঘটনার সঙ্গে পুরোপুরি জড়িত ছিল তৎকালীন সরকারদলীয় সমর্থিত বেশ কিছু আইনজীবী ও অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের আইন কর্মকর্তাবৃন্দ। অতএব এটা প্রতীয়মান হয় যে, সমিতির নির্বাচনে প্রকৃত ভোট গণনা হয় নাই। যেহেতু ভোট কারচুপির মাধ্যমে সম্পাদক সহ কমিটির ১০ জন সদস্য দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত এবং সমিতির কোনো কাজে অংশগ্রহণ করছে না। এ ছাড়া সম্পাদক পদে মঞ্জুরুল হক সরাসরি কোটা আন্দোলনের বিপক্ষের আইনজীবী এবং বিতর্কিত বেক্সিমকো গ্রুপের পরিচালক এবং অন্যান্য ৯ জন সদস্য ভোট কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচিত ও তৎকালীন সময়কার সরকারদলীয় সম্পর্কিত ও সরকারদলীয় আইনজীবীর মাধ্যমে বিতর্কিতভাবে নির্বাচিত। যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট বারের স্বাভাবিক কার্যক্রম সচল রাখার জন্য ও ভবিষ্যতে সুপ্রিম কোর্ট বারের অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট আয়োজনের জন্য পূর্ণাঙ্গ ও কার্যনির্বাহী কমিটির উপস্থিতি প্রয়োজন।