তালতলী সাগরে পুণ্যস্নানে শেষ হলো রাস উৎসব
প্রথম নিউজ, অনলাইন: সাগরে পুণ্যস্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো রাস উৎসব। সূর্যের আলো ফোটার পূর্বেই বরগুনার তালতলী শুভসন্ধ্যার সৈকতে শত শত সনাতন ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষের মিলমেলায় পরিণত হয়।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সূর্যোদয়ের সাতে সাথে রাস উৎসবে আসা পুণ্যার্থীরা সূর্য দেবতাকে প্রণাম ও উলুধ্বনি দিয়ে সাগরে পুণ্যস্নানে নেমে পড়েন। সনাতন ধর্মালম্বীরা পুণ্যলাভের আশায় ও পরলোকে যাওয়া স্বজনদের আত্মার শান্তি কামনায় সাগরপাড়ে প্রার্থনা করেন।
তারা মোম ও আগরবাতি জ্বালিয়ে অর্ঘ্যদান করেন গঙ্গাদেবীকে। পরে ধর্মীয় বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শেষ হয় রাস উৎসব।
এবারের রাস উৎসব ঘিরে শতশত পুণ্যার্থী, দর্শনার্থী ও পর্যটক আসায় উপজেলার দীর্ঘ শুভসন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের উপস্থিতিতে মুখর হয়ে ওঠে।
রাস উৎসবকে ঘিরে বৃহস্পতিবার রাতে তালতলীর শ্রীশ্রী কালীমাতা মন্দির প্রাঙ্গণে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
মেলায় পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের জন্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান, আলোচনা সভাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল ।
তালতলীর শুভসন্ধ্যার রাস উৎসব এখন সর্বজনীন লোকোৎসবে পরিণত হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ অন্য ধর্মাবলম্বীরাও ওই উৎসব উপভোগ করতে আসেন।
রাস উৎসব কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ তালতলী উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রতন বিশ্বাস বলেন, এবার শত শত নারী-পুরুষ শুভসন্ধ্যায় পুণ্যস্নানে অংশ গ্রহণ করতে এসেছেন।
স্থানীয় প্রশাসনসহ সকলের সহযোগিতায় এবারের রাস উৎসব সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল খান বলেন, রাস উৎসব উপলক্ষে পুলিশ, নৌবাহিনীসহ সাদা পোশাকে গোয়েন্দা বাহিনীর সদস্যরা তাদের নিরাপত্তা দিয়েছে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা বলেন, ওই রাস উৎসবে পূণ্যস্নান ও মেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হয়েছে। এটা শুধু ধর্মীয় উৎসব নয় এটা তালতলীর পর্যটন উন্নয়নের জন্যও শুভসন্ধ্যাকে সমৃদ্ধ করেছে।