ঢাবিতে ২০ গাড়ি সশস্ত্র ক্যাডার আনা হয়েছে: অভিযোগ রিজভীর
শুক্রবার রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ অভিযোগ করেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করার জন্য সরকারি দলের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) অনেক অস্ত্রধারীকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি ২০ গাড়ি সশস্ত্র ক্যাডার একজন মন্ত্রীর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম থেকে আনা হয়েছে বিএনপির সমাবেশে হামলা চালানোর জন্য। এসব ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণকে রুখে দেওয়া যাবে না। শুক্রবার রাতে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ অভিযোগ করেন।
রিজভী সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির সমাবেশে বাধা দিয়ে কি লাভ হয়েছে? এত অন্যায় এত হামলা মামলা নির্যাতনের পরও গণতন্ত্রহারা মানুষে মানুষে মুখরিত নয়াপল্টন। বিএনপির মহাসমাবেশকে বানচাল করার জন্য মনে হচ্ছে এক ধরনের সান্ধ্য আইন জারি করেছে সরকার।
বিএনপির এই নেতা বলেন, মহাসমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ। তারপরও এমন কোনো বাধা নেই যা সরকার দেয় নাই। গ্রেফতারের হিড়িক চালানো হয়েছে। সরকার বাধা দিয়েছে এ কারণে যে, বাধা না দিলে উত্তাল জনস্রোতে ধাবিত হবে বিএনপির মহাসমাবেশ। যারা রাষ্ট্রীয় এত নিপীড়নকে উপেক্ষা করে আসছে তারাই তো জাতীয় বীর। নেতাকর্মীরা বুকচিতিয়ে সমাবেশে আসছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ভরসার শক্তি হচ্ছে জনগণ। জনগণের শক্তির কাছে যেকোনো অপশক্তিই পরাজিত হয়। যারা ন্যায়ের পক্ষে তারা কখনো পরাজিত হয় না। রিজভী জানান, এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত চার দিনে মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ১৬৮০ জন নেতাকর্মীকে।
গতকাল থেকে এখন পর্যন্ত মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৬০ জনের অধিক নেতাকর্মী এবং মিথ্যা মামলা হয়েছে ২২টি। গত ২৮ ও ২৯ জুলাই থেকে অদ্যাবধি বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারা দেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী মোট আহত ২১১০ জনের অধিক নেতাকর্মী, মোট মামলা ৪২২টি, গ্রেফতার ৪৩৫০ জন, আসামি ২৮৮৯০ জন। মোট সাজা ১৫টি মামলায় ৯ জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও প্রায় ৯০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।