ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেই রাশিয়া: রাষ্ট্রদূত
মঙ্গলবার সকালে রাশিয়ান দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত এ দাবি করেন।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: বাংলাদেশে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দুনিয়ার কারও সঙ্গেই রাশিয়া কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না বলে দাবি করেছেন ঢাকাস্থ রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মন্টিটস্কি। মঙ্গলবার সকালে রাশিয়ান দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রদূত এ দাবি করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসহ বঙ্গপোসাগরের বিভিন্ন এলাকায় পাকিস্তানিদের পুঁতে রাখা মাইন এবং পরিত্যক্ত জলযান অপসারণে সহায়তা করেছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌবাহিনী। সে সময় অপারেশনে অংশ নেয়া সোভিয়েত নৌবাহিনীর সাবেক দু’জন সদস্য বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর করছেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের কর্মময় জীবনের স্মৃতি শেয়ার করেন।
১৫ ডিসেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা অভিযোগ করে বলেন, ৭ই জানুয়ারির নির্বাচনে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন না ঘটলে ‘আরব বসন্তের’ আদলে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। রুশ মুখপাত্র কেন এমন মন্তব্য করলেন? জানতে চাইলে রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মন্টিটস্কি বলেন, ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ সালে তৎকালীন সোভিয়েত নৌবাহিনীর সদস্যরা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর সংলগ্ন এলাকায় যে অসাধারণ মাইন সুইপিং অপারেশন পরিচালনা করেছিলেন, সেই স্মৃতি স্মরণে আজকের সংবাদ সম্মেলন। তবুও প্রশ্ন যেহেতু এসেছে এ জন্য বলছি, এখানে পশ্চিমা দেশগুলো কী করেছে এবং করছে তা আমি আগে বলেছি। তবে এটা এই নয় যে, এখানে প্রভাব বিস্তারের জন্য যুক্তরাষ্ট্র বা পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। তাদের সঙ্গে আমাদের কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই।
আলেকজান্ডার মন্টিটস্কি আরও বলেন, রুশ মুখপাত্র তার ডিসেম্বরের বিবৃতিতে ১০ বছর আগে ইউক্রেনে যা ঘটেছিল, তার সঙ্গে বাংলাদেশ পরিস্থিতির তুলনা করেছেন। দেশটিতে একটি নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা হয়েছিল, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা ছিল। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্র এটা স্বীকার করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই অভ্যুত্থান পরিচালনায় পাঁচশ কোটি ডলার ব্যয় করেছিলো তারা।