ঢাকাসহ ৬ শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ কর্মসূচি ঘোষণা
এরমধ্যে আগামী ১০ বা ১১ জুন চট্টগ্রামে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ১৭ জুন বগুড়া (রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ মিলে), ৭ জুলাই খুলনা, ১৫ জুলাই বরিশাল, ২২ জুলাই সিলেট এবং সর্বশেষ আগামী ২৯ জুলাই ঢাকায় এ সমাবেশ করা হবে।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ছয়টি বড় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপির তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন। দলটির চলমান আন্দোলনে তরুণদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল যৌথভাবে এ কর্মসূচি পালন করবে।
এরমধ্যে আগামী ১০ বা ১১ জুন চট্টগ্রামে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে ১৭ জুন বগুড়া (রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ মিলে), ৭ জুলাই খুলনা, ১৫ জুলাই বরিশাল, ২২ জুলাই সিলেট এবং সর্বশেষ আগামী ২৯ জুলাই ঢাকায় এ সমাবেশ করা হবে।
আজ শুক্রবার (২ জুন) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন, ‘দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ’ স্লোগানে এ কর্মসূচি হবে। এটি কোনো বিভাগীয় সমাবেশ নয়। প্রায় ৪ কোটি ভোটার গত ১৫ বছর ধরে ভোট দিতে পারেনি। তাদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের নেতা (তারেক রহমান) বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় জন্য লড়াই করছি না, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছি।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি এ অবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না। নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশ সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী হবে। যেটা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষকে স্বনির্ভর সমৃদ্ধশালী দেশ দিয়েছিলেন। খালেদা জিয়া ৯ বছর আন্দোলন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সেজন্যই তারেক রহমান বলেছেন- ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’। যে বাংলাদেশে সবার সমান অধিকার থাকবে।
যুবদল সভাপতি আরও বলেন, আজ শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। সন্ত্রাসের কারণে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জিম্মি। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বেকারত্ব বেড়েছে। দেশবাসী আজ এ সরকারের দ্বারা নির্যাতিত, নিপীড়িত। রিকশাচালক থেকে শুরু করে ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক ও পেশাজীবী সবাই এ সরকারের নির্যাতনের শিকার। তিনি বলেন, সরকারের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়ে তুলতে চাই।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- যুবদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।