একদিনেই গাজায় ঢুকল ৫৫২ ত্রাণবাহী ট্রাক

একদিনেই গাজায় ঢুকল ৫৫২ ত্রাণবাহী ট্রাক

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে প্রথম দিনে (১৯ জানুয়ারি) ইসরায়েল ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ সামরিক অভিযানে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করেছে ৫৫২টি খাদ্য ও জরুরি ত্রাণবাহী ট্রাক। গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা আনাদোলু এজেন্সিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।

আনাদোলুকে দেশটির এক কর্মকর্তা বলেন, “রোববার সারা দিনে রাফা ও অন্যান্য সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে মোট ৫৫২টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করেছে। ট্রাকগুলোতে গাজার বাসিন্দাদের জন্য জ্বালানি, ময়দা, চিকিৎসা সামগ্রী, শাকসবজি, মাংস ও অন্যান্য জরুরি ত্রাণ পাঠিয়েছে। এই ট্রাকগুলোর মধ্যে ২৪২টিকে উত্তর গাজায় পাঠানো হয়েছে।” সামনের দিনগুলোতে গাজায় আরও ট্রাক প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তা।

জানা যায়, গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে হামাস তিন ইসরায়েলি জিম্মি- রোমি গনেন, ডোরন স্টেইন ব্রেচার এবং এমিলি দামারিকে মুক্তি দেয়। তাদের রেড ক্রসের মাধ্যমে মুক্ত করা হয় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়।

চুক্তির আওতায় ইসরায়েল ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়, যারা সবাই নারী ও শিশু। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য খান ইউনিস হাসপাতালে পাঠানো হবে। ইসরায়েলের প্রশাসন জানিয়েছে, একজন ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

চুক্তির দ্বিতীয় ধাপে হামাসের হাতে থাকা বাকি ইসরায়েলি জিম্মিরা মুক্তি পাবেন এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা পুরোপুরিভাবে প্রত্যাহার করা হবে। তৃতীয় ধাপে গাজা পুনর্গঠন হবে, যা কয়েক বছর সময় নিতে পারে। এছাড়া, মৃত ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে নজিরবিহীন এক হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। হামলায় নিহত হন ১ হাজার ২০০ জন। এর পাশাপাশি ২৫০ জনকে গ্রেপ্তার করে গাজায় নিয়ে যায় হামাসের যোদ্ধারা।

সেই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধারে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ১৫ মাসের সেই ভয়াবহ অভিযানে গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৪৭ হাজার বেশি ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১০ হাজার ৭০০ জন। এছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১১ হাজার মানুষ।