ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রায় যে কোনো সময়
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ করতে ট্রাম্প ঘুষ প্রদান করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: সাবেক পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসে ঘুষ দেওয়া মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে কোনো সময় রায় দেওয়া হতে পারে। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের মুখ বন্ধ করতে ট্রাম্প ঘুষ প্রদান করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পর্ন তারকার দাবি, ২০০৬ সালে ট্রাম্প তার সঙ্গে ‘সেক্স’ করেছিলেন। যখন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য লড়ছিলেন তখন তিনি যেন এ কথা ফাঁস না করে দেন সেজন্য তাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, ঘুষের অর্থের কথা গোপন করতে তিনি ভুল ব্যবসায়িক তথ্য দিয়েছেন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মোট ৩৪টি অপরাধমূলক অভিযোগ আনা হয়েছে। সেগুলোতে বলা হয়েছে, নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে নিজের আইনজীবী মাইকেল কোহেনকে দিয়ে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচারকাজে অংশ নেওয়া বিচারকরা যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার (২৯ মে) নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী তাদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। এই আলোচনাতেই ঠিক করা হবে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা হবে কিনা এবং তার বিরুদ্ধে কোনো রায় দেওয়া হবে কিনা।
ট্রাম্পের কী জেল হতে পারে?
অনেকের মনে প্রশ্ন আসছে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ট্রাম্পের কি জেল হবে নাকি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে ৩৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো প্রমাণিত হলে ৪ বছর করে জেল হওয়ার বিধান রয়েছে। তবে ট্রাম্পকে কারাদণ্ড দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। এর বদলে অর্থদণ্ড করা হতে পারে।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে সমস্যা নেই। এমনকি নির্বাচিত হলে তিনি প্রেসিডেন্টের দায়িত্বও নিতে পারবেন। তবে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এবং অর্থদণ্ড হলে এটি তার ভোট ব্যাংকে প্রভাব ফেলতে পারে।