জাপানের সামরিক হাসপাতালে ইউক্রেনের সেনাদের চিকিৎসা

টানা প্রায় ১৫ মাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া

জাপানের সামরিক হাসপাতালে ইউক্রেনের সেনাদের চিকিৎসা

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : টানা প্রায় ১৫ মাস ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। আর রুশ এই আগ্রাসন মোকাবিলায় পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিকে অব্যাহতভাবে সামরিক সহায়তা দিয়ে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশগুলো।

এবার ইউক্রেনের সহায়তায় ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ নিলো জাপান। আর সেটি হচ্ছে- রুশ হামলায় আহত ইউক্রেনীয় সেনাদের চিকিৎসা সেবা দেবে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি। বৃহস্পতিবার (১৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিকিৎসার জন্য আহত ইউক্রেনীয় সৈন্যদের জাপান গ্রহণ করতে প্রস্তুত বলে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির ক্ষমতাসীন জোটের একজন সিনিয়র সদস্য বৃহস্পতিবার বলেছেন। রাজধানী টোকিওতে অবস্থিত সামরিক হাসপাতালে এই চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে এবং জাপানের সেনাবাহিনী এটি পরিচালনা করে থাকে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাপানের ওই আইনপ্রণেতা রয়টার্সকে বলেছেন, এবারই প্রথমবারের মতো টোকিওর সেলফ-ডিফেন্স ফোর্স সেন্ট্রাল হাসপাতাল বিদেশি সৈন্যদের চিকিৎসা করেছে। মূলত চিকিৎসা সেবা দেওয়ার এই চুক্তিটি এখনও প্রকাশ্যে ঘোষণা না হওয়ায় নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছেন ওই আইনপ্রণেতা।

এদিকে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াসুকাজু হামাদা এবং জাপানে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত সের্গেই করসুনস্কির মধ্যে বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আর সেখানেই ইউক্রেনীয় সৈন্যদের চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।


তবে চিকিৎসার ব্যয়ের বেশিরভাগই সম্ভবত জাপানি কর্তৃপক্ষ বহন করবে বলে জাপানের ক্ষমতাসীন জোটের ওই আইন প্রণেতা জানিয়েছেন।

এর আগে গত মার্চ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে ইউক্রেন সফরে যান জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। সেসময় জাপানি প্রধানমন্ত্রীর সেই সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছিল ইউক্রেন।

টুইটারে এমিন ঝাপার নামে পরিচিত ইউক্রেনের জ্যেষ্ঠ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমিন ঝাপারোভা সেসময় বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক সফরটি (ইউক্রেন ও জাপানের) মধ্যে সংহতি এবং দৃঢ় সহযোগিতার প্রতীক।’

কিয়েভের একটি ট্রেন প্ল্যাটফর্মে কিশিদার ছবি পোস্ট করে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমাদের ভবিষ্যৎ বিজয়ে জাপানের দৃঢ় সমর্থন এবং অবদানের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’