ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সজিবকে কুপিয়ে হত্যা করেছে : বিএনপি
প্রথম নিউজ, লক্ষ্মীপুর : কৃষক দলের নেতা সজিব হোসেনকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও নিহত সজিবের দাদা মো. হানিফ মিয়া।
বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানির লক্ষ্মীপুরের গোডাউন রোড এলাকার বাসভবন প্রাঙ্গণে সজিবের আত্মার মাগফেরাত কামনায় গায়েবানা জানাজা ও দোয়া হয়েছে। এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাছিবুর রহমান, জেলা কৃষক দলের সভাপতি মাহবুব আলম মামুন ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলসহ দুই শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন
এ সময় নিহত সজিবের দাদা ও চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. হানিফ মিয়া বলেন, সজিব আমার সঙ্গে বিএনপির প্রোগ্রামে এসেছিল। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
জানাজার শুরুতে শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সজিবকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। এর নেতৃত্বে ছিল সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। পুলিশ সুপার এখন বলছেন, সজিব হত্যাকাণ্ড অরাজনৈতিক। এতে বোঝা যাচ্ছে, কতিপয় পুলিশ এই হত্যাকাণ্ডে ছাত্রলীগকে সহযোগিতা করেছে। এ খুনের সঙ্গে জড়িত সকলের তথ্য আমরা সংগ্রহ করছি। এ ঘটনায় মামলা হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।
পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, এসপি সাহেব লক্ষ্মীপুরকে আর রক্তাক্ত করবেন না। বিএনপি নেতাকর্মীরা আজ রুখে দাঁড়িয়েছে। আমরা জেগে উঠেছি। শেখ হাসিনার সরকার পতনে রাস্তায় নেমেছি। আমাদের ২০০ থেকে ২৫০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে ৪-৫ জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এখন শুনতেছি পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। হামলা-মামলার কাছে আমরা মাথা নত করি না। যতদিন পর্যন্ত এ অবৈধ সরকার পদত্যাগ না করবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। সজিব হত্যার প্রতিবাদে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচি আসছে। কেন্দ্র থেকে যে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে সারা দেশের মতো লক্ষ্মীপুরেও একইভাবে কর্মসূচি পালন করা হবে।
এদিকে মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ এবং সজিব হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় লক্ষ্মীপুর শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে লক্ষ্মীপুর শহরে র্যাব-১১ এর ৪টি গাড়িকে টহল দিতে দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের হামলার পর কৃষক দল নেতা সজিব হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সজিব সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ধন্যপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে। তিনি চন্দ্রগঞ্জ থানা কৃষক দলের সদস্য। আজ দুপুরে ধন্যপুর গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।