চুয়াডাঙ্গায় এক গোডাউনে অবৈধভাবে সরকারি চাল মজুদ
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূইয়া গোডাউন পরিদর্শন করেন এবং চালের যাবতীয় কাগজপত্র ও গোডাউনে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে যান।
প্রথম নিউজ, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা শহরের সাতগাড়িতে অবস্থিত একটি গোডাউনে থাকা বিপুল পরিমাণ চাল নিয়ে তোলপাড় শুধু হয়েছে। অবৈধভাবে সরকারি চাল মজুদ করা হয়েছে এমন সন্দেহে ওই গোডাউনে থাকা চালের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সদর থানা পুলিশ।
পরে মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম ভূইয়া গোডাউন পরিদর্শন করেন এবং চালের যাবতীয় কাগজপত্র ও গোডাউনে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে যান।
সদর থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, সাতগাড়ির একটি গোডাউনে অবৈধভাবে সরকারি (বিক্রয় নিষিদ্ধ) চাউল সংরক্ষণ করা আছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার (৩০ জুলাই) সদর থানা পুলিশ গোডাউন মালিক নজরুল ইসমালের নিকট যাবতীয় কাগজপত্র চেয়ে পাঠান। পরে পুলিশ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বৈধভাবে চাউল সংরক্ষণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত হয়।
এ বিষয়ে সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মাহব্বুর রহমান বলেন, আমরা অবৈধ কোন কিছু পেলে আগে জব্দ করে সিজারলিস্ট করি। তারপর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আমাদের নিকট তথ্য ছিল, আমরা লোক পাঠিয়ে ছিলাম। পরে ওই গোডাউন মালিক নজরুল ইসলাম তার যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে আসেন। পরে যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। উনি বৈধভাবে চাউল কিনে সংরক্ষণ করেছেন বলে জানিয়েছেন। এঘটনায় আমরা কোন কিছু আটক করিনি।
গোডাউন মালিক নজরুল ইসলাম বলেন, এই চাউলগুলো গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (কাবিখা) প্রকল্পের। যা বিভিন্ন জেলা থেকে ক্রয় করে গোডাউনে রাখা হয়েছে। আমার লাইসেন্স রয়েছে। এগুলো সম্পন্ন বৈধ। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে রেশনও আমি কিনে থাকি। এগুলো কেনাবেচা বৈধ। তিনি আরও বলেন, কেউ আমার বিরুদ্ধে থানা এবং ইউএনও'র নিকট অভিযোগ করেছে। গতকাল বিকেলে ইউএনও স্যার আমার গোডাউন পরিদর্শন করেছেন। যাবতীয় কাগজপত্র ও গোডাউন তালাবদ্ধ করে চাবি নিয়ে গেছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, খবর পেয়ে গোডাউন পরিদর্শন করেছি। এখানে চুয়াডাঙ্গা খাদ্য গুদামের কোন চাউল নেই। বিভিন্ন জেলা থেকে চাউল কিনে এসেছেন। কাগজপত্র এবং গোডাউন তালাবদ্ধ করে চাবি নিয়ে এসেছি। আজ জেলা খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা যাচাই-বাছাই করবেন।