Ad0111

চিতাবাঘের মুখ থেকে ছেলেকে জীবন্ত ফিরিয়ে আনলেন মা

আট বছরের ছেলেকে মুখে নিয়ে দৌড়চ্ছে চিতাবাঘ। পিছন পিছন ছুটছেন ছেলেটির মা। বাঘের পিছনে এক কিলোমিটার ধাওয়া করে, তার সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করে ছেলেকে ছিনিয়ে

চিতাবাঘের মুখ থেকে ছেলেকে জীবন্ত ফিরিয়ে আনলেন মা
চিতাবাঘের মুখ থেকে ছেলেকে জীবন্ত ফিরিয়ে আনলেন মা

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : আট বছরের ছেলেকে মুখে নিয়ে দৌড়চ্ছে চিতাবাঘ। পিছন পিছন ছুটছেন ছেলেটির মা। বাঘের পিছনে এক কিলোমিটার ধাওয়া করে, তার সঙ্গে রীতিমতো লড়াই করে ছেলেকে ছিনিয়ে নিয়ে এলেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের এক মায়ের এই দুঃসাহসিক কাজকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে। ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের বড়ি ঝিরিয়া গ্রামের। ঠান্ডা পড়ায় বাড়ির বাইরে তিন সন্তানকে নিয়ে রাতে আগুন পোহাচ্ছিলেন কিরণ। ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি, খুব কাছেই একদম নিঃশব্দে ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে আরও এক জন। তার লোলুপ চোখ দু’টি স্থির ছিল আগুন পোহাতে থাকা মানুষগুলির উপর। আগুনের আঁচে তখন নিজেদের গরম করে নিতে ব্যস্ত কিরণ। গুটি গুটি পায়ে একেবারে কাছে এসে হঠাৎ লাফ কিরণের এক সন্তানের উপর। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বছর আটেকের ছেলেকে মুখে করে নিয়ে দৌড় দিয়েছিল চিতাবাঘটি। চোখের সামনে এমন ভয়ানক দৃশ্য দেখে নিজেকে স্থির রাখতে পারেননি কিরণ। বাঘের পিছু পিছু জঙ্গলের দিকে এক কিলোমিটার দৌড়ন তিনি। ধাওয়া করতে দেখে বাঘও কিছুটা ঘাবড়ে গিয়েছিল। নিজেকে বাঁচাতে শিকারকে মুখে নিয়েই ঝোপের মধ্যে লুকিয়ে পড়েছিল।

কিন্তু কিরণ ছাড়ার পাত্রী নন। এ বার তিনি খুব ধীর মস্তিষ্কে ছেলেকে বাঘের হাত থেকে বাঁচানোর চেষ্টা শুরু করেন। বাঘটিকে নানা ভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। বাঘও নাছোড়। বাঘের একেবারে কাছে ছেলেকে ছিনিয়ে আনার চেষ্টা করতেই কিরণের উপর হামলা চালায় বাঘটি। কিন্তু পাল্টা লাঠি দিয়ে আঘাত করতেই কিরণ এবং তাঁর ছেলেকে ছেড়ে দিয়ে অন্ধকারে মিলিয়ে যায় চিতাবাঘটি। আহত অবস্থায় ছেলেকে উদ্ধার করেন কিরণ। এক মায়ের এই দুঃসাহসিক ঘটনা এখন লোকের মুখে মুখে। তাঁর সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই।

সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news