ঘূর্ণিঝড় মোখা বরিশালে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ
প্রথম নিউজ, বরিশাল : এর আগে শুধু যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও এবার বরিশালের ১২টি নৌরুটের সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
একইসঙ্গে বরিশাল বিভাগে সন্ধ্যায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। শনিবার (১৩ মে) দুপুরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এদিকে, বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হলেও পুরো বিভাগে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বরিশাল নদীবন্দরে ২ নম্বর সতর্ক সংকেত ও পায়রা বন্দরকে ৮ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলার পর সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ এবং নিরাপদে নোঙর করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুনরায় নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
বরিশাল নৌ-থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল জলিল বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে বিভাগের ১৬টি ইউনিটের নৌ-পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। মানুষকে মাইকিং করে সতর্ক ও আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। এছাড়া সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদে অবস্থান করতে বলা হয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মাজহারুল ইসলাম বলেন, পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা ৬৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘণ্টায় গতিবেগ ১৬০ থেকে ১৭৫ কিলোমিটার। বাতাসের গতিবেগ রয়েছে ২ নটিক্যাল মাইল। আজকে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলিসিয়াস।
তিনি আরও বলেন, সন্ধ্যা নাগাদ ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হবে। উপকূল অতিক্রম না করা পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জল অনুসন্ধান বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম জানিয়েছেন, বিভাগের ২৩টি নদীর পানি বাড়তে শুরু করলেও কোথাও পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেনি। ঘূর্ণিঝড়টি যখন আসছে তখন অমাবস্যা, পূর্ণিমা বা জোয়ার নেই। এজন্য নদীর পানি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে শনিবার থেকে বাড়তে পারে।
এদিকে, বরিশাল নদীবন্দরে আসা যাত্রী রিশাদ খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়ার জন্য এসেছিলাম। কিন্তু লঞ্চঘাটে এসে দেখি সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এজন্য আর বাড়ি যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
আরেক যাত্রী মনিরুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাড়িতে (ভাসানচর) যাওয়ার জন্য এসেও এখন লঞ্চঘাট থেকে ফিরে যেতে হচ্ছে। আমরা এই অঞ্চলের মানুষরা ঝড়-বন্যা মোকাবিলা করেই চলি। এজন্য ঘূর্ণিঝড়ের খবর পেলে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কে থাকি।