গাড়ি সাইড না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে মঞ্চে ডেকে প্রকাশ্যে মারধর করলেন এমপি রিমন

গাড়ি সাইড না দেয়ায় ব্যবসায়ীকে মঞ্চে ডেকে প্রকাশ্যে মারধর করলেন এমপি রিমন

প্রথম নিউজ, বরগুনা:  এমপির মোটরসাইকেল বহরকে সাইড না দেওয়ায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মাছ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে বরগুনার পাথরঘাটা পৌর শহরের শেখ রাসেল স্টেডিয়াম মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নির্যানতের শিকার ব্যবসায়ী নজরুল পাথরঘাটা পৌর ছাত্রলীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বিএফডিসি মৎস্য পাইকার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রিমিয়াম লীগ ফুটবল খেলায় খেলোয়াড়দের বহন করা একটি মাইক্রোবাসকে এমপির মোটরসাইকেল বহর সাইড দিতে বলেন। রাস্তা সরু হওয়ায় সাইড না দেওয়ায় ক্ষেপে যান এমপি রিমন। পরে সভা মঞ্চে উঠে মাইক্রোবাসে থাকা পাথরঘাটা বিএএফডিসি মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে কেন তার মোটরসাইকেল বহরটিকে সাইড দেওয়া হয়নি বলেই মারধর শুরু করেন জনসম্মুখে। বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং পা ধরে ক্ষমা চাইতে বলেন।

মঞ্চে উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির ও আড়ৎদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার সংসদ সদস্যর আচরণে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এমপি আমাকে বলেছেন, নজরুল মাইক্রোর ড্রাইভারকে সাইড না দেওয়ার জন্য বলছেন। এজন্যই তিনি কয়েকটি চড়-থাপ্পর মেরেছেন।

মাছ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, রাস্তায় সাইড দেওয়ার মতো অবস্থা না থাকায় মাইক্রোবাসচালক সাইড দিতে পারেনি। এমপি আমাকে মঞ্চে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করে চড়-থাপ্পর মারেন এবং তার পা ধরে ক্ষমা চাইতে বলেন।

এ ব্যাপারে আড়ৎদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার বলেন, দেখেছি এমপি চড়-থাপ্পর মেরেছেন। মনে হয় কোনো বেয়াদবি করেছে। আমার কাছে বিষয়টি এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝি মনে হয়েছে।

এসময় মঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাবির, আড়ৎদার সমিতির সভাপতি, জাহাঙ্গীর জমাদ্দারসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নজরুল খারাপ লোক তাই আমি তাকে চড় মেরেছি, তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চড় মারা আমার অপরাধ হলে আমার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করুক।’

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, আমি মৌখিকভাবে বিষয়টা শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আমরা আইনগত প্রক্রিয়ায় যাবো।