গান গেয়ে রেকর্ড গড়লেন ম্যাডোনার

প্রথম নিউজ, বিনোদন ডেস্ক: ইতিহাস গড়লেন ম্যাটেরিয়াল গার্লখ্যাত ম্যাডোনা। শনিবার রাতে ১৬ লাখ ভক্তের সামনে তার পরিচিত ভঙ্গিমায় সংগীত পরিবেশন করলেন। এ উপলক্ষে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো’তে কোপাকাবানা সমুদ্রতীরে নেমেছিল মানুষের ঢল। এটা তার জীবনে সবচেয়ে বেশি ভক্তের সামনে গান গাওয়ার রেকর্ড। এ জন্য বহু ঘণ্টা আগে, আবার কয়েকদিন আগেই সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন এসব মানুষ। অন্যরা দৃষ্টিনন্দন প্রমোদতরীতে বা এপার্টমেন্টের ব্যালকনি থেকে উপভোগ করেছেন ম্যাডোনাকে। এটা ছিল তার সেলিব্রেশন ট্যুরের শেষ শো। এ রাতে তিনি তার হিট গান ‘লাইক এ প্রেয়ার, ভোগ, হ্যাং আপ, ইনটু দ্য গ্রুভ এবং লাইক এ ভার্জিন’ পরিবেশন করেন। দুই ঘণ্টার এই শো ছিল উন্মুক্ত। ফলে ব্রাজিলের এই শহরটি আনন্দে উন্মাতাল হয়ে উঠেছিল।
হোটেলগুলোতে তিল ধারণের স্থান ছিল না। অতিরিক্ত ১৭০টি ফ্লাইট গেছে ওই শহরে। নির্ধারিত সময়ের ৫০ মিনিট পরে স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৩৭ মিনিটের সময় কুইন অব পপ ম্যাডোনা যখন মঞ্চে ওঠেন তখন আকাশে চক্কর দিতে থাকে বেশ কিছু হেলিকপ্টার ও ড্রোন। পুরো সমুদ্রসৈকত বিচরণ করে তারা। মঞ্চে উঠেই রিও ডি জেনিরোর পাহাড় এবং ক্রাইস্ট দ্য রিদিমার মূর্তির ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, বিশ্বের মধ্যে এই স্থানটিই সবচেয়ে সুন্দর। তারপর ১৯৯৮ সালের অ্যালবাম ‘রে অব লাইট’ থেকে ‘নার্থি রিয়েলি ম্যাটারস’ দিয়ে গান শুরু করেন ৬৫ বছর বয়সী ম্যাডোনা। পুরো সমুদ্রসৈকতে স্পিকার বসাতে স্থান করা হয় ১৮টি টাওয়ার, যাতে সেখানকার স্পিকার থেকে প্রতিজন শুনতে পান তার গান।
এই শোতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ব্রাজিলের সংগীতশিল্পীদের এবং স্থানীয় সাম্বা স্কুলের লোকজনকে। তাদের অনেকেই ছিলেন ম্যাডোনা-থিমের পোশাক পরা। ম্যাডোনার আইকনিক গোল্ড কোণ ব্রা পরে যোগ দিয়েছিলেন ৬৯ বছর বয়সী রোজমেরি ডি অলিভিয়েরা বোহরার। তিনি বলেন, ম্যাডোনা যখন এখানে এসেছেন, তখন থেকেই প্রতিদিন আমি এখানে আসি তার এই পোশাকে। তিনি আমার আদর্শ, আমার ডিভা, আমার পপ কুইন তিনি। ম্যাডোনার ওয়েবসাইট বলেছে, এটাই ম্যাডোনার জীবনের সবচেয়ে বড় শো। ১৯৮৭ সালে প্যারিসে তিনি যখন শো করেছিলেন তখন সেখানে অংশ নিয়েছিলেন এক লাখ ৩০ হাজার মানুষ। কিন্তু ব্রাজিলের শোতে মানুষের সংখ্যা তার চেয়ে কমপক্ষে ১০ গুণ বেশি।