গাজায় মৃত্যুর ‘গুরুতর’ ঝুঁকিতে অন্তত ২ হাজার ৫০০ শিশু
প্রথম নিউজ, ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় এই মুহূর্তে মৃত্যুর গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছে কমপক্ষে ২ হাজার ৫০০ জন শিশু। এই শিশুদের একটি বড় অংশই ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে জখম হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ১৫ মাস ভয়াবহ অভিযানের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হয় সেখানে।
ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের এই ১৫ মাস যুক্তরাষ্ট্রের চার জন চিকিৎসক গাজায় স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গাজায় এই মুহূর্তে যারা গুরুতর আহত অবস্থায় আছেন, তাদের মধ্যে শিশু ও অপ্রাপ্তবয়স্কের সংখ্যা ২ হাজার ৫০০ জন। শিশু এবং আহত অন্যান্যদের চিকিৎসার জন্য যত শিগগির সম্ভব গাজার বাইরে পাঠাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণেরও দাবি জানান জাতিসংঘের মহাসচিব।
এর আগে গত ১৮ জানুয়ারি, অর্থাৎ গাজায় যুদ্ধবিরতির আগের দিন এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছিল, গাজায় বর্তমানে ১২ হাজারেরও বেশি মানুষ গুরুতর আহত অবস্থায় আছেন এবং শিগগিরই যদি চিকিৎসার জন্য তাদের গাজার বাইরে না নেওয়া হয়, তাহলে মারা পড়বেন তারা।
সেই সঙ্গে চিকিৎসার জন্য এই শিশুদের যত শিগগির সম্ভব গাজার বাইরে পাঠানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে গাজার স্বেচ্ছাসেবী সেই চার চিকিৎসকও উপস্থিত ছিলেন। তাদের একজন ডা. ফিরোজ সিধওয়া বলেন, “গাজায় ঠিক এই মুহূর্তে কয়েকজন আহত শিশু মারা যাচ্ছে, কিছু শিশু মারা যাবে আগামীকাল এবং বাকিরা সামনের দিনগুলোতে। যদি উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা যায়, তাহলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই আড়াই হাজার শিশুর সবাই মারা যাবে। অথচ এই শিশুদের অধিকাংশকেই সাধারণ চিকিৎসাসেবা দিয়ে বাঁচানো সম্ভব, যা এই মুহূর্তে গাজায় সম্ভব নয়।”
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “মার্কিন স্বেচ্ছাসেবী ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে গাজার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে পেরেছি। এই ২ হাজার ৫০০ জন শিশুকে অবশ্যই জরুরিভিত্তিতে চিকিৎসার জন্য গাজার বাইরে পাঠাতে হবে এবং চিকিৎসা শেষে তারা যেন ফের গাজায় ফিরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে পারে, সে নিশ্চয়তা দিতে হবে।”