গাজীপুর সিটির বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
তিনি গাজীপুর মহানগরীর পূর্ব ভুরুলিয়া এলাকার মৃত শহর আলী মোল্লার ছেলে। দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় গাজীপুরের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রথম নিউজ, গাজীপুর: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের (গাসিক) বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইব্রাহীম খলিলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিনি গাজীপুর মহানগরীর পূর্ব ভুরুলিয়া এলাকার মৃত শহর আলী মোল্লার ছেলে। দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় গাজীপুরের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই প্রকৌশলী অবৈধভাবে ১ কোটি ৪৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকার জ্ঞাতআয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে দখলে রাখেন। তিনি নির্ধারিত বেতনভুক্ত কর্মচারী হওয়া সত্ত্বেও তার বেতন-ভাতার বাইরে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের অবৈধ উৎস আড়াল করার উদ্দেশ্যে তার অবৈধ আয়ের প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান ও মালিকানা গোপন করেন। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় গাজীপুরের উপ-পরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার এ মামলার বাদী। তিনি দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন পেয়ে গত ২৫ জুন এ মামলাটি করেন। ঘটনার সময়কাল হিসেবে ২০০০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেখানো হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, আসামি ইব্রাহীম খলিল এবং তার মেয়ে ইশরাত জাহান ইশার নামে ২ কোটি ৮৭ লাখ ২৪ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে। এর মধ্যে ইব্রাহীম নিজ নামেসহ তার মেয়ের (ওই সময়ে মেডিকেলের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন ইশা) নামে কেবল ২০২০ সালেই ১ কোটি ১১ লাখ ৫৪ হাজার ১৫০ টাকার সম্পদ কিনেছেন। আসামি ইব্রাহীম খলিলের নিজ নামসহ মেয়ে ইশার নামে কেনা মোট ২ কোটি ৮৭ লাখ ২৪ হাজার টাকার সম্পদের মধ্যে তিনি আয়কর নথিতে ১ কোটি ৪০ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৫ টাকার স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন। তিনি একজন সরকারি বেতনভুক্ত কর্মচারী। তার বেতন-ভাতার বাইরে ওই বিপুল পরিমাণ টাকার সম্পদ অর্জন সন্দেহজনক ও অবৈধ অর্থের লেনদেন মর্মে পরিলক্ষিত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইব্রাহিম খলিল দাবি করেন, তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনিসহ তার বাবার নামে বেশকিছু জমি হুকুম দখল হয়েছে। সে সম্পদ থেকে তার আয় হয়েছে। যার বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তিনি এ মামলা আইনিভাবে মোকাবিলা করবেন।