‘খালেদা জিয়াকে মাইনাস কর‌তে না চাইলে তীব্র আন্দোলন কর‌ত বিএনপি’

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের ১৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আচলোনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

‘খালেদা জিয়াকে মাইনাস কর‌তে না চাইলে তীব্র আন্দোলন কর‌ত বিএনপি’

প্রথম নিউজ, ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ব‌লে‌ছেন, তারেক রহমানের নির্দেশে খালেদা জিয়াকে আপনারা রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে চান। তা নাহ‌লে তার মুক্তির জন্য লড়াই করতেন। আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করতেন। আর না হয় সত্যিকার ভাবে বারবার তার মুক্তির জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতেন।  

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের ১৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আচলোনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্য করে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, আপনারা মামলা হলেই প্রতিদিন আদালতের দ্বারস্থ হন, জামিনের জন্য। নাইকো মামলা এই মামলা সেই মামলার জন্য আপনারা আদালতের দ্বারস্থ হন কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার জন্য কবে কোন সময় একবার আদালতে গিয়েছিলেন! বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিদেশে চিকিৎসা একমাত্র আদালতের মাধ্যমেই হতে পারে, অন্য কোন পথে না। আপনারা সেটা জানেন না। আপনারা তাকে জেলখানায় রাখতে চান, রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে চান। আপনাদের সেই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমানের নির্দেশে আপনারা খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করতে চান। আর না হয় তার মুক্তির জন্য লড়াই করতেন। আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর করতেন। আর না হয় সত্যিকার ভাবে বারবার তার মুক্তির জন্য আদালতের দ্বারস্থ হতেন।  

সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আপনাদের দুইটা পথ ছিল, আন্দোলনকে তীব্রতর করে তাকে মুক্ত করা অথবা বারবার আদালতের শরণাপন্ন হয়ে আদালতের মাধ্যমে তার (খালেদা জিয়া) মুক্তি নিশ্চিত করা, বিদেশে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। কোনটাই আপনারা করেন নাই। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাইতে পারতেন তাও আপনারা করেন না। আপনাদের উদ্দেশ্য কী, তারেকের ফর্মুলাতে যেয়ে বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করে জেলখানায় রাখা? এটাই আপনাদের উদ্দেশ্য। আবার সরকারের দোষ দেন। সাঈদীর সাথে খালেদা জিয়াকে তুলনা করেন। ভালো, এতদিন পরে সত্য কথাটাই বলেছেন। 

তিনি আরো বলেন, দেশকে আজ তারা (বিএনপি) ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে চাইছে। আজকে বাংলাদেশে আমাদের সকল অর্জনকে, উন্নয়নকে নস্যাৎ করার চেষ্টা করছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করছে। আবার তারা সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। যে সরকার আমরা দেখেছি তিন মাসের কথা বলে দুই বছর থেকে যায়, ঐরকম একটা অনির্বাচিত সরকার আবার তারা চায়। আবার তারা এরশাদ, জিয়ার মতো ক্ষমতার পরিবর্তন চায়, যেটা সম্ভব না। তারা ষড়যন্ত্র করছে গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে দেয়ার। আবার দেশে অনির্বাচিত সরকার কায়েম করার চেষ্টা তারা করছে। তাই আমাদের নতুন প্রজন্মের সন্তানদের প্রতি আমি আহ্বান জানাবো, এই অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো সজাগ থাকতে হবে। এরা দেশের শত্রু, এরা জাতির শত্রু। 

কামরুল বলেন, তারা (বিএনপি) আবার আমাদের পেছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। তাদের স্লোগানই হচ্ছে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। আমরা যখন স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলি তখন তারা বলে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। 

বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সভাপতি অ্যাড. মো. আসাদুজ্জামান দূর্জয়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলীপ কুমার রায়, বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. খাজা হোসেন, সহ-সভাপতি মো. আলমগীর হোসেন, মো. বশির আহমেদ বাদল, মো. শাহ আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তারেক আইয়ূব প্রমুখ।