কয়লা সঙ্কটে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ
২৩শে এপ্রিল রাত থেকে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: কয়লা সংকটের কারণে ফের বন্ধ হয়ে গেল বাগেরহাটের রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন। ২৩শে এপ্রিল রাত থেকে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পার্টনারশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিআইএফপিসিএল) উপমহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল আজিম। এর আগে গত ১৪ই জানুয়ারি কয়লা সঙ্কটের কারণে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আনোয়ারুল আজিম জানান, কয়লা আনার জন্য নানা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ৩রা মে-এর দিকে আবার উৎপাদন শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।
জানা গেছে, রামপালে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিটের মধ্যে একটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছিল। তবে ডলার সংকটের মধ্যে কয়লা আমদানি বন্ধ হয়ে গেলে উৎপাদন শুরুর ২৭ দিনের মাথায় পর্যাপ্ত কয়লা না থাকায় গত ১৪ই জানুয়ারি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন কেন্দ্রটির একটি ইউনিট চালু রাখতে প্রয়োজন পাঁচ হাজার টন কয়লা। কয়লার নতুন চালান নিয়ে গত ৯ই ফেব্রুয়ারি একটি জাহাজ রামপালে আসার পর আবার উৎপাদনে ফেরে কেন্দ্রটি। এরপর ১৫ই এপ্রিল রাত থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবার বন্ধ হয় এই মেগা প্রকল্পের উৎপাদন। তিনদিন বন্ধ থাকার পরে ১৮ই এপ্রিল ফের সচল হয় কেন্দ্র।
গত বছরের ৬ই সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট ‘মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের’ আওতায় ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রথম ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু রাখতে দীর্ঘ মেয়াদী চুক্তির আওতায় ৮০ লাখ মেট্রিক টন কয়লা ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়। এখন পর্যন্ত এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে দুই লাখ ৬৭ হাজার ৭৫২ মেট্রিক টন কয়লা আমদানি করা হয়েছে। এদিকে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ হওয়ার প্রভাব পড়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহে। ফলে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়েছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রতিষ্ঠান ওজোপাডিকোর মোংলা অঞ্চলের আবাসিক প্রকৌশলী এইচ এম ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, উৎপাদনে আসার পর থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে খুলনাসহ এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। কিন্তু ঈদের পর থেকে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকায় লোডশেডিং এবং বিদ্যুৎ বিভ্রাট বৃদ্ধি পেয়েছে। দক্ষিণের জেলাগুলোতে পিক আওয়ারে লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছে।