ক্ষমতাসীন দল দুর্গোৎসবে সহিংসতার চেষ্টা করবে: বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট

ক্ষমতাসীন দল দুর্গোৎসবে সহিংসতার চেষ্টা করবে: বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট

প্রথম নিউজ, ঢাকা : সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট’সংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট’

নির্বাচনকে সামনে রেখে দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারা উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে উৎসবে সহিংসতার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্ট।

রবিবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে  ‘আসন্ন শারদীয় দুর্গা উৎসব ঘিরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের নীল নকশা; দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান’- শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা মনে করি ক্ষমতাসীন দল দুর্গোৎসবে সহিংসতার চেষ্টা করবে। করে বহির্বিশ্বকে দেখানোর চেষ্টা করবে। হামলা করে তারা অন্যদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কয়েকদিন আগে বলেছেন, আমার ভয় হচ্ছে এদের ওপর না আক্রমণ হয়। তার ভয় হাওয়ার পরের দিনই আক্রমণ হয়েছে।’

বিজন কান্তি সরকার বলেন, কুমিল্লার এমপি বাহার উদ্দিন বাহার আমাদের দুর্গোৎসবকে কটাক্ষ করে বক্তব্য দিয়েছেন। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যখন প্রতিবাদ করতে দাঁড়িয়েছে তখন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ আক্রমণ করেছে। আবার পরের দিন তারা শান্তি মিছিল করেছে। সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়লে তো হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বিপদে পড়লে সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করে, আবার ব্যবহার শেষ হয়ে গেলে আক্রমণ করে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে অতীতেও দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে। এসব দুর্ঘটনা রাজনৈতিক কারণে ঘটানো হয়েছে। এবারও আমরা এমন আশঙ্কা করছি।’

দেশের সকল বড় দল ও ব্যক্তিদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিজন কান্তি আরও বলেন, ‘দেশের সকল দল ও ব্যক্তিদের আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা সতর্ক থাকবেন। প্রয়োজনে মণ্ডপে পাহারায় থাকবেন। ক্ষমতাসীনদের নীল নকশা যেন বাস্তবায়ন না হয়।’

বর্তমান সরকার অতীতের সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনাগুলোরও বিচার করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কুমিল্লা, হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রদায়িক আক্রমণের আগের ঘটনাগুলোর বিচার হয়নি। আমরা একটা ভালো নির্বাচন চাই। নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচন ভালো হয় না। নির্বাচন ভালো না হলে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হয় না। আমরা নির্বাচনের সময় অনিশ্চয়তায় থাকতে চাই না।’

এর আগে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধার করার জন্য হিন্দু সম্প্রদায়ের দূর্গা উৎসবসহ বিভিন্ন সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আবেগের দিন অথবা স্থানকে লক্ষ্য করে পরিকল্পিতভাবে ষড়যন্ত্রমূলক আক্রমণ করা হয়। ভোটাধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকারের দাবিতে সংগ্রামরত ঐক্যবদ্ধ মানুষকে বিভক্ত করার জন্যই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের নীল নকশা ও ষড়যন্ত্রের এই কার্ড ব্যবহার করা হয়।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব এস এন তরুন দে, সহ-সভাপতি রমেশ দত্ত, নারী ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক বৃতা দত্ত, সিনিয়র উপদেষ্টা তপন মজুমদার, ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক হৃদয় চন্দ্র ঘোষ, সহকারী সচিব মৃণাল কান্তি বৈষ্ণব প্রমুখ।