কাঁচা মরিচের ঝাঁজ দেখতে মধ্যরাতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান

কাঁচা মরিচের প্রকৃত দাম দেখতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে মধ্যরাতে রাজধানীর পাইকারি কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারের কাঁচা মরিচের আড়তে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

কাঁচা মরিচের ঝাঁজ দেখতে মধ্যরাতে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান

প্রথম নিউজ, ঢাকা: কাঁচা মরিচের দামের ঝাঁজে অস্থির কাঁচাবাজার। পাল্লা দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে-কমছে পণ্যটির দাম এবং সেটি সাধারণ মানুষের ক্রয় সীমার বাইরে। গত ২ জুলাই রাজধানীতে কাঁচা মরিচের সর্বোচ্চ দাম উঠেছিল ৫০০-৬০০ টাকা কেজি। এমন অবস্থায় দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু হলে বাজারে দাম কিছুটা কমে, তাও সেটি ২৫০-৩০০ টাকা কেজি। 

এমন অবস্থায় কাঁচা মরিচের প্রকৃত দাম দেখতে ও নিয়ন্ত্রণে রাখতে মধ্যরাতে রাজধানীর পাইকারি কাঁচাবাজার কারওয়ান বাজারের কাঁচা মরিচের আড়তে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বুধবার (৫ জুলাই) রাতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (ঢাকা জেলা) আব্দুল জব্বার মণ্ডলের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক (প্রধান কার্যালয়) মো. শরিফুল ইসলাম ও সোহেল চাকমা।

কর্মকর্তাদের সঙ্গে অভিযানে গিয়ে দেখা যায়, প্রথম দোকানে চালান না থাকায় তাদেরকে সতর্ক করা হয়। আগামী বুধবার ভোক্তা অধিদপ্তরে ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি মিটিং করার কথা রয়েছে, সেখানে আসতে বলা হয়েছে।

দোকানি পরিমল সাহা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকের বাজারে সর্বনিম্ন ২৯৫ টাকা থেকে ৩১০ টাকা দরে মরিচ কেনা আছে। এর বাইরেও আমাদের পরিবহন খরচ, এখানের ভাড়া সব মিলে আমাদের কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে হবে। শুধু অভিযান চালালেই হবে না, সবকিছু বিবেচনা করতে হবে।

দ্বিতীয় দোকানিকেও সতর্ক করা হয়। অভিযানিক দল বাজারে মোট তিনটি দোকান ঘুরতে পারে। কেননা অভিযানের খবরে ব্যবসায়ীরা আর মরিচ বাজারে আনেননি। অভিযানিক দল দোকানগুলো ঘুরে দেখতে পায়, একই মরিচ একজন ৩০০ টাকা, অন্যজন ৩২০ টাকা এবং আরেকজন ৩৫০ টাকা দাম হাঁকছেন। কিন্তু কারও কাছেই দালিলিক কোনো প্রমাণ নেই, পুরো ব্যবসাটাই চলছে মৌখিকভাবে। অভিযান করার মতো আর কোনো দোকান না থাকায় পরে অভিযান সমাপ্ত করা হয়।

অভিযান শেষে আব্দুল জব্বার মণ্ডল সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আজকে আমাদের উদ্দেশ্য ছিল মরিচগুলো কোথা থেকে আসছে, কেমন দামে আসছে এবং সেগুলো এখানে এসে কত দামে বিক্রি হচ্ছে ও এই প্রক্রিয়ার মাঝে কোনো কারসাজি আছে কি না সেটি দেখা। আজকে দেখলাম, এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন অফিসে জমা দেওয়া হবে।