কাগজের মূল্যবৃদ্ধি ও অসম রাজস্বনীতিতে কার্টন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত

বক্তরা বলেন, স্থানীয় শিল্প কারখানায় কার্টনের চাহিদা বাড়ছে। তারপরও কাগজকল মালিকদের স্বেচ্ছাচারী মনোভাবে প্রতি বছর কাগজের মূল্য বৃদ্ধির ফলে এরইমধ্যে কিছু প্যাকেজিং শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি এ শিল্প দীর্ঘদিন থেকে অসম ভ্যাট-ট্যাক্স নীতির শিকার।

কাগজের মূল্যবৃদ্ধি ও অসম রাজস্বনীতিতে কার্টন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত

প্রথম নিউজ, ঢাকা:  প্যাকেজিং কাগজের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধির পাশাপাশি গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সরকারের অযৌক্তিক ও একপেশে অপরিবর্তিত রাজস্বনীতির কারণে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লোকাল প্যাকেজিং শিল্প। এমনটাই দাবি করেছে বাংলাদেশ লোকাল কার্টন ম্যানুফেকচারার্স এসোসিয়েশন।

আজ সোমবার  ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়। অস্বাভাবিকহারে কাগজের মূল্যবৃদ্ধি, অসম রাজস্বনীতির প্রতিবাদ ও কার্টন শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনটির সভাপতি এম. এ. বাসার পাটোয়ারী।

তিনি বলেন, স্থানীয় শিল্প কারখানায় কার্টনের চাহিদা বাড়ছে। তারপরও কাগজকল মালিকদের স্বেচ্ছাচারী মনোভাবে প্রতি বছর কাগজের মূল্য বৃদ্ধির ফলে এরইমধ্যে কিছু প্যাকেজিং শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি এ শিল্প দীর্ঘদিন থেকে অসম ভ্যাট-ট্যাক্স নীতির শিকার।

এম. এ. বাসার বলেন, বিগত ২০১৮ সালের ৩০ মার্চ হঠাৎ করে কাগজের দাম টনপ্রতি দশ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছিল। সেসময় লোকাল কার্টন শিল্প মালিকরা লাখ লাখ টাকা লোকশান করেছে। সেই ধকল কাটিয়ে না উঠতেই সরকার ৫৬.৫ শতাংশ রাজস্ব বৃদ্ধি করে ওই অর্থবছরে (২০১৯-২০)। যা তখন প্যাকেজিং শিল্পের উপর একপেশে হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, আমদানি নীতিতে লোকাল প্যাকেজিং শিল্পের জন্য ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১০ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি এবং ৫ শতাংশ এএইটি আরোপ করে লোকাল প্যাকেজিং এর জন্য বাইরে থেকে কাগজ আমদানির সুবিধাও কঠোর করে রেখেছে। যে আমদানি নীতিকে পুঁজি করে দেশি কাগজ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো একচেটিয়া অনৈতিক ব্যবসা করছে। এ পুঁজিবাদীদের সুযোগ দেওয়ার কারণে চলতি অর্থবছরে প্রথম ৫ মাসে সরকারের রাজস্ব আদায় কমপক্ষে ২৭ হাজার কোটি টাকা কমে গেছে বলেও দাবি করেন এম. এ. বাসার।

এ অবস্থায় সংগঠনের পক্ষে তিনি বেশকিছু দাবি পেশ করেন। তিনি বলেন, প্যাকেজিং শিল্প ১৫% বা আদর্শ হারে ভ্যাট প্রদান করে, তাই উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল এর উপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ হওয়া বাঞ্ছনীয়। কাঁচামাল ক্রয়ে যেহেতু আমরা নিট মূল্যের উপর ভ্যাট প্রদান করি, তাই প্যাকেজিং পেপারের ভ্যাট ৫-৭.৫ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য উৎসে আয়কর কর্তন বাতিল করার বিশেষ অনুরোধ করছি। প্রতি বছর অযৌক্তিকভাবে কাগজের মূল্য বৃদ্ধি করে অতি মুনাফা অর্জনের নিয়ম বন্ধ করার নীতি প্রণয়নের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি প্যাকেজিং শিল্পের সকল সমস্যা মোকাবিলায় সরকারি রুগ্ন ও লোকসানি কাগজকল কর্ণফুলী পেপার মিলস এবং এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আয় থেকে দায় শোধ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ লোকাল কার্টন ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশনের কাছে হস্তান্তরে ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান এম. এ. বাসার।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom