এ বছর হজের খুতবা দেবেন কাবার যে ইমাম

প্রথম নিউজ, অনলাইন: হজের খুতবা কী?
হজের অন্যতম রোকন বা ফরজ হলো উকুফে আরাফাহ বা আরাফার ময়দানে অবস্থান করা। হজ পালনকারীরা ৯ জিলহজ সকালে মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করে আরাফায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হন এবং জোহরের নামাজের আগেই আরাফায় উপস্থিত হন। ৯ জিলহজ জোহরের সময় থেকে আরাফায় অবস্থানের সময় শুরু হয় এবং সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর পর্যন্ত আরাফায় অবস্থান করা ওয়াজিব। ৯ জিলহজ জোহরের পর থেকে আগত রাতের সুবহে সাদিক পর্যন্ত কিছুক্ষণের জন্য হলেও আরাফায় অবস্থান করা ফরজ। কেউ যদি এ সময়ের মধ্যে কিছুক্ষণের জন্যও আরাফায় অবস্থান করতে না পারে, তাহলে তার হজ বাতিল হয়ে যায়।
হজ পালনকারীদের আরাফায় অবস্থানের দিন অর্থাৎ ৯ জিলহজ হজ পালনকারীদের উদ্দেশে যে খুতবা বা ভাষণ দেওয়া হয় তা হজের খুতবা নামে পরিচিত। সৌদি আরবের সময় দুপুর সোয়া বারোটার দিকে মসজিদে নামিরা থেকে এ খুতবা দেওয়া হয়। এ খুতবা শুনতে মসজিদে নামিরায় যাওয়া জরুরি নয়। আরাফার ময়দানের যে কোনো জায়গায় অবস্থান করেই খুতবা শোনা যায়।
প্রতি বছর সৌদি বাদশাহর নির্ধারণ অনুযায়ী একজন সম্মানিত আলেম এ খুতবা দিয়ে থাকেন। গত বছর হজের খুতবা দিয়েছিলেন কাবার ইমাম শায়খ মাহের ইবনে হামাদ।
এ বছর হজের খুতবা কে দেবেন?
এ বছর হজের খুতবা দেবেন কাবার ইমাম শায়খ ড. সালেহ ইবনে আব্দুল্লাহ আল হুমাইদ। সম্প্রতি সৌদি রয়্যাল কোর্ট ঘোষণা করেছে যে, সৌদি বাদশাহ শায়খ সালেহ ইবনে আবদুল্লাহ আল হুমাইদকে ১৪৪৬ হিজরির আরাফার খতিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। ৯ জিলহজ ১৪৪৬ হিজরি মসজিদে নামিরা থেকে তিনি হজের খুতবা প্রদান করবেন।
মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববির খবর সরবরাহকারী ওয়েব পোর্টাল ‘হারামাইন শরিফাইনে’ এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শায়খ সালেহ ইবনে আব্দুল্লাহ আল হুমাইদ ৯৫০ সালে সৌদি আরবের বুরাইদা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি মক্কার উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। একই ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন যথাক্রমে ১৯৭৬ ও ১৯৮২ সালে। পরে তিনি উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শরিয়া অনুষদে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী অর্থনীতি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন কর
১৯৮৩ সালে ৩৩ বছর বয়সে তিনি মসজিদে হারামের ইমাম নিযুক্ত হন। তিনি সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিল ও হাই জুডিশিয়ারি কমিশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এখন তিনি উম্মুল কুরা ইউনিভার্সিটির প্রফেসর, সিনিয়র ওলামা কাউন্সিলের সদস্য এবং সৌদি আরবের রয়্যাল কোর্টের উপদেষ্টা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এ বছর হজ পালনকারীরা আরাফায় অবস্থান করবেন আগামী ৫ বা ৬ জুন।