উন্নয়ন-নিরাপত্তা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ঊর্ধ্বে নয়- মার্কিন রাষ্ট্রদূত
খসড়া ডেটা সুরক্ষা আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করেছেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
প্রথম নিউজ অনলাইন: খসড়া ডেটা সুরক্ষা আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করেছেন ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেইসঙ্গে ডেটাকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিচালনার পাশাপাশি মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় সচেষ্ট থাকার তাগিদ দিয়েছেন তিনি। উন্নয়ন ও নিরাপত্তা কোনোভাবেই গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ঊর্ধ্বে স্থান পেতে পারে না এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই মূল্যবোধগুলো আসলে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত এবং একে অন্যকে শক্তিশালী করে। মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা একটি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও টেকসই করে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। গতকাল রাজধানীর ইএমকে সেন্টারে বাংলাদেশে অনলাইন স্বাধীনতা ও ব্যবসায় বিনিয়োগ- শীর্ষক এক আলোচনায় রাষ্ট্রদূত এসব বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন।
মার্কিন দূতাবাস আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, আইএমএফ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পতিয়েইনেন, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এবং কমিউনিকেশন এক্সপার্ট রুবাবা দৌলা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। হাইব্রিড প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা অনুষ্ঠানে দীর্ঘ বক্তৃতায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি আমাদের উদ্বেগের কথা বলার আগে একথা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই: আমরা বাংলাদেশের নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেয়ার বিষয়টিকে শ্রদ্ধা করি। আমরা উদ্বিগ্ন যে ডেটা সুরক্ষা আইন যদি ডেটা স্থানীয়করণের প্রয়োজনীয়তাকে কঠোরভাবে অনুসরণ করার শর্ত দিয়ে অনুমোদন করা হয় (আইনে পরিণত করা হয়) তাহলে বর্তমানে বাংলাদেশে কাজ করছে এমন কিছু আমেরিকান কোম্পানি বাংলাদেশের বাজার ছেড়ে যেতে বাধ্য হতে পারে।
একইভাবে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম পরিচালনার ক্ষেত্রে যদি কোম্পানিগুলোকে ব্যবহারকারীদের তৈরি করা কনটেন্ট বা বিষয়বস্তুর কারণে অপরাধের দায় নিয়ে ফৌজদারি আইনের মুখোমুখি হতে হয় তাহলে তারা এখানে তাদের ব্যবসায় বিনিয়োগ করা থেকে বিরত থাকবে। এর পরিণতি বাংলাদেশের জন্য খুবই নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। রাষ্ট্রদূত বলেন, এখানে প্রায় ২,০০০ এরও বেশি স্টার্টআপকে ব্যবসা ছেড়ে দিতে হতে পারে। এবং প্রতিদিন যে কোটি কোটি বাংলাদেশি ব্যবহারকারী তাদের সেবা নিচ্ছেন তারা আর এই সেবাগুলো পাবেন না।
ব্যবসাকে আকর্ষণ করার জন্য উদ্ভাবনের সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর এজন্য অনলাইন উন্মুক্ত ও স্বাধীন হওয়া দরকার জানিয়ে তিনি বলেন, আর সেই সূত্রে পরবর্তী যে বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে তা হলো: মানবাধিকার। যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহারকারী ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার জন্য অনলাইন বিষয়বস্তু পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে এবং এটি কোনো সহজ কাজ নয়। তবে আমরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মের যে খসড়া আইন দেখেছি সেখানে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে এমন অনলাইন কনটেন্ট বা বিষয়বস্তুর সংজ্ঞার বিস্তৃত পরিসর নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা সাম্প্রতিক ঘোষণার বিষয়ে উদ্বিগ্ন যে ১৯১টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ব্লক করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সমালোচনা গ্রহণ করার সক্ষমতা এবং অপ্রীতিকর বক্তব্য হলেও বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করা শক্তিশালী গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস নাগরিক সমাজের অনেক সংস্থা এবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে এই আইন বিষয়ে শুনেছে। তাদের ভয় হলো এই নিয়ম ও আইন মৌলিক মানবাধিকার ও স্বাধীনতাকে সীমিত করবে। ডেটা সুরক্ষা আইনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আমরা উদ্বিগ্ন যে, ডেটা সুরক্ষা আইনের সর্বশেষ খসড়ায় একটি স্বাধীন ডেটা তদারকি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা রাখা হয়নি এবং এই আইনে ফৌজদারি শাস্তি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যদিও আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশ তাদের স্থানীয় প্রেক্ষাপটকে অবশ্যই বিবেচনায় রাখবে কিন্তু আমরা বাংলাদেশসহ সকল দেশকে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট আন্তর্জাতিক মানদণ্ডগুলো সমুন্নত রাখার আহ্বান জানাই।
দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ: এদিকে প্রতিটি দেশের সরকার ও সমাজ নতুন নতুন প্রযুক্তির দ্রুতগতিতে নাটকীয় পরিবর্তনের মুখোমুখি হচ্ছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত পিাটার হাস বলেন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবং পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশগুলোর আইনি ও নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে সাজানো বেশ চ্যালেঞ্জের। যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ তথা গোটা বিশ্বই ওই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনলাইন প্রচুর সুযোগ তৈরির পাশাপাশি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জও তৈরি করেছে। বিশ্বের সব জায়গাতেই সরকারকে অনলাইন ও এর সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যবহারকারীর ডেটাকে দায়িত্বশীলতার সঙ্গে পরিচালনা করার পাশাপাশি মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করায় সচেষ্ট থাকতে হবে। এই ধরনের শাসন কার্যক্রম পরিচালনা করা অত্যন্ত জটিল একটা বিষয়। বক্তৃতায় মার্কিন দূত বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল, সোশ্যাল মিডিয়া এবং ওভার-দ্য-টপ প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য প্রণীত প্রবিধানগুলোর পাশাপাশি খসড়া ডেটা সুরক্ষা আইন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আমরা যেহেতু বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্বকে মূল্য দিই তাই আমরা আমাদের উদ্বেগের কথা সরকারের কাছে সরাসরি তুলে ধরি।
হাইব্রিড ফর্মেটে অনুষ্ঠিত ওই আলোচনা সভায় দেয়া লিখিত বক্তব্যের শুরুতে মার্কিন দূত বলেন, আমি আমার মূল বক্তব্য শুরুর আগে আপনাদেরকে জানাতে চাই যে, আজকে আমি এখানে যা বলবো সেটা চ্যাটজিপিটি কিংবা অন্য কোনো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি করে দেয়নি! আজকে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি বাংলাদেশে অনলাইন স্বাধীনতা এবং ব্যবসায়িক বিনিয়োগের যোগসূত্র নিয়ে আলোচনা করার জন্য। প্রায় এক বছর আগে বাংলাদেশে আসার পর থেকে আমি বাংলাদেশের ডিজিটাল যুগে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়া দেখে মুগ্ধ হয়েছি- সেটা ফুডপান্ডা থেকে বিকাশ এবং এর বাইরেও বিস্তৃত। রাষ্ট্রদূত বলেন, এটা আমার কাছে স্পষ্ট যে এই শতকে ডিজিটাল বিশ্বে বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে, অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করতে চায়। একইসঙ্গে, পৃথিবী দ্রুত বদলে যাচ্ছে। রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রথমেই অর্থনীতির কথা বলি। এই শতকে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ও উদ্ভাবনকে উৎসাহিত না করে বিশ্বের কোনো দেশের পক্ষেই সফল হওয়া সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশে আমাদের মিশনের কাজের অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বাংলাদেশের অর্থনীতির সম্প্রসারণ এবং বহুমুখীকরণের মাধ্যমে একটি টেকসই ও যৌথভাবে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়া। এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তোলা যা বৃহত্তর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত। আমরা আমাদের লক্ষ্যকে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে লক্ষ্যের সঙ্গে মিলিয়ে নিয়েছি: একটি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বৃহত্তর পরিসরে অর্থনৈতিক সংযোগ গড়ে তোলা প্রয়োজন যা বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশকে নেতৃত্বের আসনে স্থান করে দেবে। বাংলাদেশকে বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে আরও সংযুক্ত করতে এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের একটি সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে যাতে করে বৈশ্বিক ব্যবসায়ীরা এখানে আসতে আগ্রহ বোধ করেন এবং তারা একটি আমন্ত্রণমূলক পরিবেশ খুঁজে পান। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করা ও এখানে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধির ইচ্ছার কথা জানতে পেরেছি। বাংলাদেশের বাজার খুবই আকর্ষণীয়। আর এই কারণেই, আমরা সম্প্রতি দূতাবাসে একটি ফরেন কমার্শিয়াল সার্ভিস অফিস চালু করেছি। তবে একই সময়ে, আমরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এই আশঙ্কার কথা শুনতে পাই যে প্রস্তাবিত নতুন আইন ও প্রবিধানগুলো তাদের জন্য এখানে ব্যবসা করা আরও কঠিন করে তুলবে।
অনলাইন বক্তৃতা এবং ডেটা সুরক্ষা করা সহজ কাজ নয় মন্তব্য করে মার্কিন দূত বলেন, এটি অত্যন্ত জটিল বিষয়। আর সেই কারণেই আমরা এই আলোচনা করছি। যুক্তরাষ্ট্রে এই কাজ করতে গিয়ে আমরা জানি যে অসত্য কিংবা গুজব মোকাবিলা করা, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেয়া এবং ব্যবসার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করা কতোটা কঠিন। ওয়াশিংটন থেকে সিলিকন ভ্যালি পর্যন্ত আমাদের অনেক কিছুই শিখতে হয়েছে এবং আমরা এখনো শিখছি এবং এই ধরনের জটিল বিষয়গুলো নিয়ে আমরা খোলামেলাভাবে আলোচনা ও বিতর্ক করছি।
কারণ শেষ পর্যন্ত উন্নয়ন ও নিরাপত্তা কোনোভাবেই গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ঊর্ধ্বে স্থান পেতে পারে না। এবং এই মূল্যবোধগুলো আসলে পরস্পর সম্পর্কযুক্ত ও একে অন্যকে শক্তিশালী করে। মানবাধিকারের সুরক্ষা এবং গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা একটি দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে ও টেকসই করে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমৃদ্ধি নিয়ে আসে। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে এই বিষয়গুলো নিয়ে বাণিজ্যিক ও ব্যবসায়িক সংস্থা, নাগরিক সমাজ এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে পরামর্শ করতে উৎসাহিত করি। এই ধরনের খোলামেলা আলোচনা হওয়াটা প্রশংসনীয়। আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি যে ডেটা সুরক্ষা আইনের পরবর্তী খসড়ায় উল্লেখিত খাতগুলোর সঙ্গে আলোচনা থেকে পাওয়া মতামত অন্তর্ভুক্ত করা হবে এবং আমরা বিশ্বাস করি এতে বাংলাদেশ এর জন্য আরও ভালো হবে। রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে ডেটা সুরক্ষা আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে ডেটা সুরক্ষার আন্তর্জাতিক মানদণ্ড, অর্থনৈতিক সংযোগ এবং ব্যক্তিগত অধিকারের মধ্যে উপযুক্ত ভারসাম্য গড়ে তুললে সেটা এই দেশের অব্যাহত উন্নয়নকে গতিশীল করবে। আমরা বাংলাদেশের দীর্ঘকালের পরীক্ষিত অংশীদার এবং আমরা বাংলাদেশের সাফল্য দেখতে চাই।
প্যানেল আলোচনায় অন্য বক্তারা যা বললেন: এদিকে প্যালেন আলোচনায় ঢাকাস্থ বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে উদ্বেগের পাশাপাশি খসড়া ডিপিএ নিয়েও উদ্বেগ আছে। ডিজিটাল অর্থনীতির যে বিবর্তন হয়েছে তাতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে নিষ্পেশনের সুযোগ নেই। ডেটা সুরক্ষা আইনের খসড়ায় ব্যক্তিগত গোপনীয়তার বিষয়ে আমাদের উদ্বেগ আছে। এতে করে আন্তর্জাতিক পক্ষগুলোর উদ্বেগ বাড়ার আশঙ্কা আছে। তাই মানবাধিকার সমুন্নত রেখে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার স্বার্থে আন্তর্জাতিক মান অক্ষুণ্ন রেখে কাজটি করতে হবে। তবে বিভিন্ন পক্ষকে যুক্ত করে এই আইনের খসড়া নিয়ে যে আলোচনা তা আশাব্যঞ্জক।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, খসড়া আইনের বিভিন্ন ধারণার বিষয়ে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। ব্যক্তিগত ডেটা বলতে কি বলা হচ্ছে তা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি। গোপনীয়তা এবং ব্যক্তির অধিকারের ক্ষেত্রেও ধারণাটা স্পষ্ট নয়। কম্পিউটার সফটওয়্যার নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওরাকলের এদেশীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাবা দৌলা বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কালে ডেটাকে নতুন মুদ্রা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রতিদিন যে ডেটা তৈরি হচ্ছে তার মজুত অপ্রত্যাশিত হারে বেড়ে চলেছে। অনলাইনের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলি ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।