ইসলামী আন্দোলনের নতুন কমিটি, ফের আমীর চরমোনাই পীর
সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় সম্মেলনে এই কমিটির ঘোষণা দেন চরমোনাই পীর।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সোমবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জাতীয় সম্মেলনে এই কমিটির ঘোষণা দেন চরমোনাই পীর। চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম আবারো ইসলামী আন্দোলনের আমীর নির্বাচিত হয়েছেন। পুনরায় দলটির মহাসচিব হয়েছেন মাওলানা ইউনুছ আহমাদ। দলটির অন্যান্য পদে যারা এসেছেন- নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মাওলানা আব্দুল হক আজাদ। মহাসচিব হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহম্মেদ সেখ। যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব- হাফেজ মাওলানা ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।
এর আগে নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের প্রস্তাবসহ ১৯ দফা ঘোষণা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করছে দলটি। দলটির জাতীয় সম্মেলন থেকে এসব ঘোষণা দেয় দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান। তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে, ক্ষমতার পালাবদলের সময় দেশে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়। কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন বর্তমান বাস্তবতায় সম্ভব নয়। সেজন্য ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনকালীন জাতীয় সরকারের প্রস্তাব করছে। দলটির ১৯ দফায় বলা হয়, জনমতের ভিত্তিতে শাসনতন্ত্রের সংস্কার বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র তথা সংবিধানকে যথেচ্ছা সংশোধন করে জনঅধিকার খর্ব করার ঢাল বানানো হয়েছে। বর্তমান সংবিধান নিয়ে দেশের কোনো পক্ষই সন্তুষ্ট নয়। বিরোধীরা এটাকে সংস্কার করতে চাইছে।
এতে আরও বলা হয়, সরকার পক্ষও বাহাত্তরের সংবিধানে ফেরত যাওয়ার কথা বলে বর্তমান সংবিধানের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছে। এই সংবিধান রচনায় জনমতের তোয়াক্কা করা হয়নি। পাকিস্তান আমলের পার্লামেন্ট মেম্বারদের দিয়ে এই সংবিধান পাস করানো হয়েছে। এই সংবিধান প্রণয়নে গণভোটও হয়নি। এই ঐতিহাসিক বাস্তবতা ও চলমান গণঅসন্তোষ বিবেচনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ ভূখণ্ডের মানুষের হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্য, বোধ, বিশ্বাস ও মনস্তত্ত্ব আমলে নিয়ে এবং গণভোটের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনের ভিত্তিতে সংবিধানের সামগ্রিক সংশোধনের প্রস্তাব করছে। দলটির অন্য ঘোষণার মধ্যে রয়েছে প্রশাসনকে দক্ষতা ও সততার ভিত্তিতে জনতার সেবক দর্শনে খোলাফায়ে রাশেদার আদর্শে গড়ে তোলা। সেপারেশন অব পাওয়ার নীতির প্রয়োগ করে শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন ও ন্যায়পাল বিভাগকে পরস্পর থেকে স্বাধীন ও স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা হবে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews