ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত বদল ইসরাইলের

খবরে বলা হয, ইরানের তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে গত শুক্রবার দেশটিতে ব্যাপক পরিসরে হামলা চালাতে চেয়েছিল ইসরাইল।

ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত বদল ইসরাইলের

প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: ইরানের হামলার পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে দেশটির যুদ্ধ মন্ত্রিসভা বৈঠকে বসে। ওই বৈঠকে ইরানে ব্যাপক শক্তি নিয়ে আক্রমণের পরিকল্পনার প্রস্তাব অনুমোদনও দেওয়া হয়। কিন্তু পরে তারা তা থেকে পিছিয়ে আসে। ইসরাইলের তিন কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। খবরে বলা হয, ইরানের তিন শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাবে গত শুক্রবার দেশটিতে ব্যাপক পরিসরে হামলা চালাতে চেয়েছিল ইসরাইল। হামলার পরিকল্পনা ছিল ইরানের রাজধানী তেহরানের কাছের সামরিক ঘাঁটিতেও। তবে পরে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে ইসরাইল সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন মিত্রদেশের কূটনৈতিক চাপের কারণেই ইরানে বড় ধরনের হামলার সিদ্ধান্ত বাতিল করে ইসরাইল। ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ইরানের ছোড়া প্রায় সব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ঠেকিয়ে দেওয়াও ব্যাপক হামলা না চালানোর পেছনে একটি কারণ হিসেবে কাজ করেছে।

১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরান কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এর জবাবে ১৪ এপ্রিল ইসরায়েল লক্ষ্য করে তিন শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেহরান। ওই ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের ৯৯ শতাংশ ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করে ইসরাইলি বাহিনী। এর কয়েক দিন বাদেই শুক্রবার ভোররাতে ইরানের ইস্পাহান শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সূত্রে প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে বড় পরিসরে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ুক, তা চায়নি ইসরাইলের পশ্চিমা মিত্ররা।

নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেহরানের কাছের সামরিক ঘাঁটিসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটিতে বড় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছিল ইসরাইল। এতে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ছিল। এমন হামলা চালানো হলে তা এড়িয়ে যাওয়া তেহরানের পক্ষে কঠিন ছিল। ফলে দেশটির পক্ষ থেকে শক্তিশালী পাল্টা হামলা চালানোর ঝুঁকি বাড়ত।

ইসরাইলি কর্মকর্তাদের সূত্রে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে বড় পরিসরে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ুক, তা চায়নি ইসরাইলের পশ্চিমা মিত্ররা। তাই ইরানে ব্যাপক হামলা না চালানোর জন্য ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাজ্য ও জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও একই অনুরোধ জানিয়েছিলেন। এর জেরেই নিজের পরিকল্পনা বাতিল করেন নেতানিয়াহু।