ইথিওপিয়ার আমহারা অঞ্চলে জুলাই থেকে অস্থিরতায় নিহত ১৮৩ : জাতিসঙ্ঘ
প্রথম নিউজ ডেস্ক: জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার দফতর জানিয়েছে, ইথিওপিয়ার আমহারা অঞ্চলে গত জুলাই থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৮৩ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার জাতিসঙ্ঘ দফতর আরো জানিয়েছে, ইথিওপিয়ায় মানবাধিকার পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে এবং অস্থিরতার কারণে চলতি মাসের শুরুতে জরুরি অবস্থা জারি করার পর এক হাজারেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আমহারা মিলিশিয়ার নাম উল্লেখ করে তারা বলেছে, ‘আটকদের মধ্যে অনেকেই আমহারা বংশোদ্ভূত যুবক বলে জানা গেছে, যাদের ফানোর সমর্থক বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আগস্টের শুরু থেকে বাড়ি বাড়ি ব্যাপক তল্লাশি চলছে এবং আমহারা অঞ্চলের পরিস্থিতি কভার করার জন্য কমপক্ষে তিনজন ইথিওপিয়ান সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।’
জাতিসঙ্ঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মৌলিক সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই বন্দিদের ইমপ্রোভাইজড ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। এতে নির্বিচারে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি এবং কর্তৃপক্ষকে 'গণগ্রেফতার' বন্ধের আহ্বান জানানো হয়। আমহারা যোদ্ধাদের দখলে থাকা শহরগুলো সামরিক বাহিনী পুনরুদ্ধার করেছে এবং মিলিশিয়া সদস্যরা গ্রামাঞ্চলে পালিয়ে যাচ্ছে বলে মানবাধিকার অফিস লড়াই বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে দেশটির এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) বলেন, ফিনোট সেলাম সম্প্রদায়ের একটি জনবহুল শহরের স্কোয়ারে বিমান হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হন। ফেডারেল সরকার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় টাইগ্রে অঞ্চলে দুই বছর ধরে চলা সংঘর্ষে আমহারা যোদ্ধারা সেনাবাহিনীর পাশাপাশি লড়াই করেছিল, যা নভেম্বরে একটি শান্তি চুক্তির মাধ্যমে শেষ হয়। সঙ্ঘাতটি আমহারা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে যখন টাইগ্রে বাহিনী এক পর্যায়ে রাজধানী আদ্দিস আবাবার কাছে যাওয়ার চেষ্টা করে।
ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের সরকার জাতিগত ভিত্তিতে প্রায়ই বিভিন্ন সঙ্ঘাত দমনের জন্য বছরের পর বছর ধরে লড়াই করে আসছে। আফ্রিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশটিকে দীর্ঘদিন ধরে হর্ন অব আফ্রিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা অংশীদার হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে সরকার সঙ্ঘাতের অপব্যবহারের সংখ্যা বোঝার জন্য জাতিসঙ্ঘেত তদন্তকারীদের দ্বারা বহিরাগত প্রচেষ্টার সমালোচনা করেছে বা সীমিত করেছে।