‘ইচ্ছা করেই’ প্রবাসীদের লাগেজ ফেলে আসা, কাটা-চুরি হরহামেশা

বাংলাদেশে পরিচালিত কয়েকটি বিদেশি বাজেট (লো কস্ট ক্যারিয়ার) এয়ারলাইন্সগুলোর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। তাদের কারণে প্রবাসীদের লাগেজ ফেলে আসার বিষয়টি বর্তমানে ‘নিয়মিত’ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

‘ইচ্ছা করেই’ প্রবাসীদের লাগেজ ফেলে আসা, কাটা-চুরি হরহামেশা

প্রথম নিউজ, ঢাকা: ‘ইচ্ছা করেই’ প্রবাসীদের সঙ্গে থাকা লাগেজ রেখে আসছে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো! বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আসা প্রবাসীদের লাগেজ না এনে কার্গোর মাল আনায় আগ্রহ বেশি তাদের। বাংলাদেশে পরিচালিত কয়েকটি বিদেশি বাজেট (লো কস্ট ক্যারিয়ার) এয়ারলাইন্সগুলোর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। তাদের কারণে প্রবাসীদের লাগেজ ফেলে আসার বিষয়টি বর্তমানে ‘নিয়মিত’ ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

প্রবাসীদের কাছে উড়োজাহাজের টিকিট বিক্রি করেও লাগেজ না আনার বিষয়টি এভিয়েশনের ভাষায় ‘লেফট বিহাইন্ড’ (ফেলে যাওয়া) বলা হয়। মূলত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি বাজেট এয়ারলাইন্স প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে এমন আচরণ করছে। প্রবাসীদের লাগেজ বুকিং নিলেও তা ফেলে আনা হচ্ছে কার্গোর মাল। এরপর শুরু হয় ভোগান্তি। লাগেজের জন্য মাসের পর মাস ঘুরতে থাকেন ভুক্তভোগীরা।

শহীদ মোবারক নামের এক প্রবাসী  বলেন, আমি জুলাই মাসের ১ তারিখে সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্সের এসভি- ৮০৮ ফ্লাইটে দুটি লাগেজ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হই। একটি লাগেজে ছিল ফল, আরেকটিতে কসমেটিক্সসহ নানা জিনিসপত্র। ঢাকায় ফিরে ফলসহ লাগেজটি পাই, অপরটি পাইনি (ট্যাগ নম্বর- SV 375495)। পরে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’-এ অভিযোগ দেওয়ার পর তারা বলে, ‘লাগেজ পেলে জানাবে’। তবে, এক মাসেও কল দেয়নি তারা। কবে ফোন দেবে সে বিষয়েও কোনো ধারণা নেই। আমি নিজ থেকে ৩/৪ দিন ফোন দেই। তারা বলে, পাওয়া গেলে জানাবে। তাদের পক্ষ থেকে আমাকে আর কিছুই জানানো হয়নি।’

জুনের শেষ সপ্তাহে পরিবার নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ঢাকায় আসেন শামীম আহম্মেদ। ঢাকা বিমানবন্দরে নেমে দুটি লাগেজ পাননি তিনি।  শামীম বলেন, সেদিন কাতার এয়ারওয়েজের কর্মীরা জানিয়েছিলেন, আফ্রিকা থেকে ফ্লাইটটি দেরি করে কাতারে আসায় লাগেজ উড়োজাহাজে তোলা সম্ভব হয়নি। পরবর্তী ফ্লাইটে লাগেজ আসবে। তারা আমার নাম-ঠিকানা লিখে রাখে। লাগেজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে, দেড় মাস হয়ে গেলেও তারা কোনো তথ্য জানায়নি। ফোন করলে জানায়, লাগেজ বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

জুনায়েদ হোসেন শুভ নামের অপর এক ভুক্তভোগী বলেন, চলতি বছরের ১৫ জুলাই গালফ এয়ারের ফ্লাইটে ঢাকা থেকে বাহরাইন ট্রানজিট নিয়ে সৌদি আরবের রিয়াদে যাই। রিয়াদে পৌঁছে আমি আমার লাগেজ পাইনি। বিমানবন্দরে অভিযোগ করি। কিন্তু তিন সপ্তাহেও তারা আমাকে লাগেজ ফিরিয়ে দেয়নি।

শাহজালাল নামে আবুধাবি থেকে আগত আরেক প্রবাসী বলেন, সম্প্রতি আমি এয়ার অ্যারাবিয়া ফ্লাইটে ঢাকায় আসি। তারা আমার লাগেজ আনেনি। আমি সাভারের বাসায় চলে যাই। দীর্ঘদিন ফোন দিয়েও আমি লাগেজ পাইনি। পরে বিমানবন্দরে কাজ করে এমন পরিচিত একজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আটদিন পর লাগেজ হাতে পাই।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে ২০৯৪টি ফ্লাইট অবতরণ করে। এসব ফ্লাইটে তিন লাখ ৬৬ হাজার ৭৪৮ যাত্রী বাংলাদেশে আসেন। এর মধ্যে ১৮৩৩ যাত্রীর লাগেজ দেশে আনেনি এয়ারলাইন্সগুলো। দেশে না আনার তেমন কোনো কারণও জানাতে পারেনি তারা।

বিমানবন্দরে যাত্রীদের অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, লো কস্ট এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে জাজিরা এয়ারওয়েজ, সালাম এয়ার, এয়ার অ্যারাবিয়া, ইতিহাদ, ফ্লাই দুবাইয়ের বিরুদ্ধে ‘লেফট বিহাইন্ড’-এর অভিযোগ সবচেয়ে বেশি। বড় এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স ও কাতার এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে।

লো কস্ট এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে জাজিরা এয়ারওয়েজ, সালাম এয়ার, এয়ার অ্যারাবিয়া, ইতিহাদ, ফ্লাই দুবাইয়ের বিরুদ্ধে ‘লেফট বিহাইন্ড’-এর অভিযোগ সবচেয়ে বেশি
এছাড়া মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স, ওমান এয়ার, গালফ এয়ার, কুয়েত এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে হাতে গোনা যাত্রীদের অভিযোগ রয়েছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, কোনো কোনো এয়ারলাইন্স এ ধরনের (লেফট বিহাইন্ড) কাজ করছে। সর্বশেষ ঈদেও আমরা এমন অভিযোগ পেয়েছি। শাহজালাল বিমানবন্দর বর্তমানে দেশি-বিদেশি ৩১টি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে কাজ করছে। বিষয়টি সুরাহা করতে প্রতিটি এয়ারলাইন্সের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও হটলাইন নম্বর সংগ্রহ করে বিমানবন্দরে টাঙানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা হটলাইনগুলো খোলা থাকছে। প্রবাসীদের লাগেজ যদি না আসে তাহলে তারা এসব নম্বরে যোগাযোগ করতে পারেন।

এদিকে, ইচ্ছাকৃত প্রবাসীদের লাগেজ রেখে আসা এয়ারলাইন্সগুলোকে শাস্তির আওতায় আনছে বেবিচক। লাগেজ নিয়ে প্রবাসীদের হয়রানি করা হলে তাৎক্ষণিক তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দরে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ করা যায়। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের জরিমানা করেন ম্যাজিস্ট্রেট। তবে, অভিযোগের সংখ্যা যদি বেশি হয় তাহলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে বেবিচকের কাছে অভিযোগ দিতে পারে। বেবিচক তাদের শাস্তির আওতায় আনতে পারে।

বেবিচকের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে  বলেন, বর্তমানে ‘লেফট বিহাইন্ড’ লাগেজের জন্য দায়ী এয়ারলাইন্সগুলোর বিরুদ্ধে চার ধরনের শাস্তির বিধান রেখেছে বেবিচক। প্রথমত, নিয়মিত লাগেজ রেখে আসা এয়ারলাইন্সগুলোর বিরুদ্ধে সিট রেস্ট্রিকশন দিচ্ছে বেবিচক। যেমন- কোনো এয়ারলাইন্স যদি ১৮০ সিটের হয়, লেফট বিহাইন্ড-এর শাস্তি হিসেবে তাকে ১৫০ বা ১৬০টির মতো সিটে যাত্রী নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি সিট খালি থাকবে। দ্বিতীয়ত, তাদের ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি (সাপ্তাহিক ফ্লাইটের সংখ্যা) কমিয়ে দেওয়া হয়। তৃতীয়ত, যদি প্রয়োজন হয় প্রতিদিন প্রতি লাগেজের জন্য জরিমানা এবং চতুর্থত, দায়ী এয়ারলাইন্সকে এককালীন মোটা অঙ্কের জরিমানা করা।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে শাস্তি হিসেবে কয়েকটি এয়ারলাইন্সের সিট রেস্ট্রিকশন দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও কঠোর হবে বেবিচক। বিমানবন্দরে প্রতিনিয়ত লাগেজ কাটা ও জিনিসপত্র চুরির অভিযোগ করেন প্রবাসীরা। তাদের অধিকাংশই সৌদি আরব ও দক্ষিণ আফ্রিকা-ফেরত যাত্রী।

আবু সালেহ মিলন নামের আবুধাবি-ফেরত যাত্রী গত ২৯ জুলাই ঢাকায় আসেন ইতিহাদ এয়ারওয়েজে। তিনি বলেন, আমি ইতিহাদের ইওয়াই- ২৪০ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে আবুধাবি হয়ে বাংলাদেশে আসি। ঢাকায় এসে দেখি আমার লাগেজ থেকে দুটি রিস্ট ওয়াচ (হাতঘড়ি) চুরি হয়েছে। লাগেজ কাটা ছিল। কে বের করল, কীভাবে বের করল, বুঝলাম না। কেউ কোনো সদুত্তর দিতে পারল না। কোনো উপায় না পেয়ে বের হয়ে আসি বিমানবন্দর থেকে।

লাগেজ কাটার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সরেজমিন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যায় । সেখানে দেখা যায়, উড়োজাহাজ থেকে লাগেজ নামানোর পর তা বেল্টে দেওয়া এবং যাত্রীর হাতে আসার আগ পর্যন্ত গোটা এলাকাই সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়। অর্থাৎ লাগেজ কাটার অভিযোগ থাকলে খুব সহজেই তার প্রমাণ মিলবে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের কাছে আসা অধিকাংশ লাগেজ কাটার ঘটনা অরিজিন (যে দেশ থেকে এসেছে) থেকে হয় বলে প্রমাণ মিলেছে। সৌদি আরবের জেদ্দা ও মদিনা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা রুটের যাত্রীদের লাগেজ বা কার্টন বেশি কাটা পাওয়া যায়। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, সৌদি থেকে আসা লাগেজে যাত্রীরা জমজমের পানি আনেন, যা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। স্ক্যানিংয়ের পর লাগেজগুলোর তালা মাস্টার কি (চাবি) দিয়ে খুলে পানি ফেলে দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে, যারা কাপড়ের ব্যাগ বা কার্টনে পানি আনেন সেগুলো কেটে পানি রেখে দেওয়া হয়। সেই কাটা ব্যাগ দেশে পাঠালে প্রায়ই চুরির অভিযোগ ওঠে।

আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশনের (আইকাও) নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বিমানবন্দর যদি যৌক্তিক কারণে যাত্রীর লাগেজ কাটে তাহলে সেটা যাত্রীকে জানাতে হবে এবং একটা স্লিপ দিতে হবে। তবে, সৌদি জমজমের পানি বের করার বিষয়ে কাউকে অবহিত করা লাগে না। এছাড়া সাউথ আফ্রিকার জোহানেসবার্গসহ বেশ কয়েকটি বিমানবন্দর থেকে যাত্রীদের লাগেজ কাটার প্রমাণ পেয়েছে ঢাকা বিমানবন্দর। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা উড়োজাহাজের যে অংশে লাগেজ রাখা হয় সেখানে গিয়ে তল্লাশি করে। লাগেজ কাটার প্রমাণও মেলে।

উড়োজাহাজ থেকে লাগেজ নামানো, সেগুলো গাড়িতে করে বেল্টে দেওয়া, বেল্ট থেকে সংগ্রহ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়। কেউ অভিযোগ করলে আমরা ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নিতে পারি। 
এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বলেন, উড়োজাহাজ থেকে লাগেজ নামানো, সেগুলো গাড়িতে করে বেল্টে দেওয়া, বেল্ট থেকে সংগ্রহ পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়া সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়। কেউ অভিযোগ করলে আমরা ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নিতে পারি। তবে, যে দেশের বিমানবন্দর থেকে লাগেজ ঢাকায় আসে সেখানেও কাটা হতে পারে। এমন তথ্য কিন্তু আমাদের কাছে আছে।

কাটা লাগেজের বিষয়ে বেবিচক চেয়ারম্যানের কাছেও বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘লাগেজ নিয়ে অনেকের অভিযোগ ছিল। আমরা বেশ কয়েকটি ঘটনার বিষয়ে ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি। এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি কাস্টমস ও গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলার, মূলত যারা লাগেজ হ্যান্ডেল করেন তাদের সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছি। এ বিষয়ে কাজ করতে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তারা প্রবাসীদের অভিযোগ শুনে সেগুলো চিহ্নিত করছেন।’
 
‘যাত্রীদের লাগেজ কাটার বিষয়টি বাংলাদেশে হয়েছে, নাকি যে দেশ থেকে এসেছে সেখানে হয়েছে; এটা এখনও নিশ্চিত নয়। আমাদের এখানে উড়োজাহাজ থেকে লাগেজ রিসিভ করা পর্যন্ত প্রতিটি মুহূর্ত থাকে সিসি ক্যামেরার আওতায়। কেউ কিছু করবে সেই সুযোগ নাই। যদি করে থাকে, তার বিরুদ্ধে আমরা বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

স্পেসিফিক (নির্দিষ্ট) লাগেজ কাটার অভিযোগগুলোর বিষয়ে পরিচালককে (শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক) নির্দিষ্ট দিনের সিসিটিভি ফুটেজগুলো দেখতে বলেছি— বলেন বেবিচক চেয়ারম্যান।

বাংলাদেশে আসার পর অনেক প্রবাসী লাগেজ না পেয়ে এদিক-ওদিক ছুটোছুটি করতে থাকেন। লাগেজ না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। তাদের বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, বেল্টে গিয়ে যদি দেখেন লাগেজ আসেনি, তাহলে দ্রুত বিমানবন্দরের ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ বিভাগে গিয়ে অভিযোগ দিতে হবে। হারানো লাগেজের বিষয়ে ‘প্রপার্টি ইরেগুলারিটি রিপোর্ট’ (পিআইআর) করতে হয়। অভিযোগ করার পর লিখিত পিআইআর কপি বুঝে নিতে হবে। ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ খুঁজে পেতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মীদের সহায়তা নিন। পিআইআর করার ২১ দিনের মধ্যে লাগেজ বুঝিয়ে দিতে না পারলে এয়ারলাইন্সগুলো যাত্রীকে ক্ষতিপূরণ দেবে। এছাড়া ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’-এ যাওয়ার আগে তারা এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের ফোকাল পয়েন্ট, হটলাইন নম্বর ও কান্ট্রি ডিরেক্টরকে ফোন দিতে পারেন।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom