‘আয়নাঘরের’ প্রমাণ পেল গুম কমিশন
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রথম নিউজ, অনলাইন: ভুক্তভোগীদের দেয়া অভিযোগ অনুযায়ী প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কার্যালয়ে গিয়ে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল (আয়নাঘর) সন্ধান পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারি। এটি ডিজিএফআইয়ের সদর দপ্তরের ভেতরেই অবস্থিত। দোতলা ওই ভবনে ২২টি সেল আছে। তবে ৫ই আগস্টের পর সেখানকার অনেক তথ্যই মুছে ফেলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারি কার্যক্রম শুরুর ১৩ কর্মদিবসের মধ্যেই ৪০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। এসব অভিযোগের বেশিরভাগই আগে কখনো করা হয়নি। ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি গুমের অভিযোগ এসেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই), ডিবি ও সিটিটিসির বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধান কমিশনের সভাপতি ও হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় বা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক যারা গুম হয়েছেন তাদের অভিযোগগুলো নিয়েই আমরা কাজ করেছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদেরও আমরা ডাকব। বক্তব্যের জন্য সমন দেব। অভিযুক্তরা না আসলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে বেশি গুমের অভিযোগ এসেছে র্যাব, ডিজিএফআই, ডিবি ও সিটিটিসির বিরুদ্ধে। ২৫শে সেপ্টেম্বর আমরা ডিজিএফআইয়ের আয়নাঘর পরিদর্শন করেছি। ১লা অক্টোবর আমরা ডিবি ও সিটিটিসি পরিদর্শন করেছি। তবে সেখানে কোনো বন্দী আমরা পাইনি। সম্ভবত ৫ই আগস্টের পর সেখানে থেকে সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।