আ’লীগ নেতার নগ্ন ছবি ফেসবুকে পোস্ট, যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

ভাঙ্গা থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন তিনি। মামলায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা আরাফাত শেখকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

আ’লীগ নেতার নগ্ন ছবি ফেসবুকে পোস্ট, যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

প্রথম নিউজ, ফরিদপুর: ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইনের আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছে। ওই ছবিকে সুপার এডিট দাবি করে এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা।

শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ভাঙ্গা থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন তিনি। মামলায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা আরাফাত শেখকে প্রধান আসামি করে আটজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলায় আসামিরা হলেন- উপজেলার শেখপুরা গ্রামের বাসিন্দা ও যুবলীগ নেতা আরাফাত শেখ (৪৩), চরপাল্লা গ্রামের সালাউদ্দিন খাঁন তানভির (৩৭), সানি রহমান (২৫), দোপপাশা গ্রামের কিবরিয়া মুন্সী (২৮), সদরপুর উপজেলার চর আড়িয়াল খাঁ গ্রামের কামরুল মাতুব্বর (৩৮), কামাল মাতুব্বর (৩২), বিপ্লব মাতুব্বর (২৬) ও নেওয়াজখার কান্দি গ্রামের তরিকুল ইসলাম শুভ (২৫)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (৯ আগস্ট) ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইন আসামিদের যার যার ব্যক্তিগত আইডি থেকে সুপার এডিট করা একটি ছবি দেখতে পান। অজ্ঞাতপরিচয় এক নারীর সঙ্গে তার নগ্ন ছবি দেখতে পান। ওই ছবি পোস্ট করে সেখানে আসামিরা অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। মামলার বাদীর ধারণা, আসামিরা ও আরও চার থেকে পাঁচজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাদের ফেসবুক আইডি থেকে তার ব্যক্তিগত ছবি অজ্ঞাতপরিচয় নারীর সঙ্গে সুপার এডিট করে তাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ফেসবুকে পোস্ট করেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী কাজী হেদায়েতুল্লাহ সাকলাইন বলেন, ফেসবুকে প্রচার করা ছবিটি সুপার এডিট করা। যা প্রথমে যুবলীগ নেতা আরাফাত শেখের ফেসবুকে দেখা যায়। তিনি জানান, তিন মাস আগে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি তাকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়ে এমন ভিডিও না ছড়ানোর জন্য টাকা দাবি করেন। সেদিনই ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। তখন ওসি তাকে ধৈর্য ধরতে বলেন। এ জন্য তখন আইনি পদক্ষেপ নেননি। পরবর্তীতে বিষয়টি ফেসবুকে চলে আসায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মামলার প্রধান আসামি ও যুবলীগ নেতা আরাফাত শেখের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন বলেন, একজন ব্যক্তির সম্মানহানি করা ঠিক নয়। এটা নিন্দনীয় কাজ। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানান তিনি। ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও চার থেকে পাঁচজনের নামে ভাঙ্গা থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা চলছে।