অবশেষে নেটে তামিম, তবে ব্যাটিংয়ে অস্বস্তি
প্রথম নিউজ, ঢাকা: মাঝে তামিম ইকবাল আর লিটন দাসকে নিয়ে ফিসফাস, কানাকানি। জাতীয় দলের এক নম্বর ওপেনার আর মিডল অর্ডারে নির্ভরতার প্রতীক লিটন দাস কি আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে পারবেন?
সাধারণ ক্রিকেট অনুরাগী আর ভক্ত-সমর্থকদের মধ্যে এ প্রশ্ন চাউর না হলেও শেরে বাংলায় টিম বাংলাদেশের প্র্যাকটিস কভার করতে যাওয়া বেশিরভাগ সাংবাদিকের মধ্যেই এ কৌতুহল উঁকি দিচ্ছে। সেটা যে এমনি এমনি, তা নয়। তামিম ও লিটন দুজনকেই শারীরিক সমস্যা ভোগাচ্ছে। নিয়মিত প্র্যাকটিসেও করেননি কদিন। একদিন অনুশীলন করলে পরদিন পারছেন না।
তামিমের পুরোনো পিঠের ব্যথাটা আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। লিটনেরও নাকি পিঠে ব্যথা। সাথে জ্বরও ছিল। যে কারণে দুজনই শেষ প্র্যাকটিস সেশনে অংশ নেননি। সেই বৃহস্পতিবার তামিম ও লিটনের অনুশীলন না করা থেকেই সংশয়-সন্দেহের বীজ অঙ্কুরিত হয়েছিল।
তামিমের ব্যাপারে বিসবির প্রধান চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ চৌধুরী জাগো নিউজকে জানিয়েছেন, তার পিটে একটি পুরোনো ব্যথা আছে। সেটাই মাথাচাড়া দিয়েছে আবার। কোনো নতুন ইনজুরি নয়। লিটনেরও নাকি এমআরআই করানো হয়েছিল। কিন্তু কিছু পাওয়া যায়নি-জানালেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক।
অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ রোববার শেরে বাংলা লাগোয়া ইনডোর প্র্যাকটিস কমপ্লেক্সের খোলা আকাশের নিচে ন্যাচারাল টার্ফে নেটে ব্যাটিং করেছেন তামিম ও লিটন। লিটন স্বচ্ছন্দে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করলেন। দেখে মনে হয়নি, কোনো শারীরিক সমস্যা আছে।
কিন্তু বাঁহাতি ওপেনার তামিম পুরোপুরি স্বাভাবিক ছিলেন না। নিজের চেনা ছন্দে অনুশীলন করতে পারেননি দেশসেরা ওপেনার। অস্বস্তি নিয়েই নেটে ব্যাটিং করেছেন তামিম। কিছুক্ষণ পরপর কোমড়ে হাত রাখছিলেন। দেখে মনে হচ্ছিল, কোমড় বেয়ে ওঠা পিঠের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন। নেটে বেশ কবার কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা গেছে তামিমকে।
এখন প্রশ্ন হলো, টেস্টের বাকি আর ৭২ ঘণ্টা। ১৪ জুন শেরে বাংলায় শুরু আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টটি। সেই ম্যাচে আঙুলের ফ্র্যাকচার ভালো না হওয়ায় খেলতে পারছেন না অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। এখন কোমড় আর পিঠের ব্যথায় তামিমও অনিশ্চিত।
এমন নয় একটু আধটু ব্যথা নিয়ে খেলা যাবে, এটা তো ২০ ওভারের ম্যাচ নয়। ৫ দিনের টেস্ট, একদিনের বেশি সময় উইকেটে থাকতে হতে পারে। আজ রোববার মিনিট তিরিশেক নেটে ব্যাটিংয়ের সময়ই যখন তিন চারবারের বেশি সময় কোমড় ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন, এই অবস্থা নিয়ে টেস্টে ব্যাটিং করা সম্ভব? তামিম যদি শতভাগ ফিট না থাকেন, তবে নিশ্চয়ই নির্বাচকদের বিকল্প ভাবতে হবে। তেমন হলে কি কাউকে ব্যাকআপ হিসেবে ডাকা হবে? সেটাই দেখার।