অফসাইডে বাতিল আর্জেন্টিনার গোল, অতিরিক্ত সময়ে গড়াল কোপার ফাইনাল

অফসাইডে বাতিল আর্জেন্টিনার গোল, অতিরিক্ত সময়ে গড়াল কোপার ফাইনাল

প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক: কোপার ফাইনালে ৭৫ মিনিটে এসে উদযাপনের উপলক্ষ পেয়েছিল আর্জেন্টিনা। অবশেষে নিকোলাস গঞ্জালেস ভেঙেছিল ডেডলক। গোল পায় আর্জেন্টিনা। তবে সেই উদযাপন শেষ হওয়ার আগেই সাইড রেফারি পতাকা তুলে জানিয়ে দেয় গোল হওয়ার আগেই অফ সাইডে ছিলেন তালিয়াফিকো। ভিএআর চেক করেও দেখা গেছে একই দৃশ্য। বাতিল হয় আর্জেন্টিনার গোল। হতাশ হতে হয় সমর্থকদের। এরপর বাকি সময় চেষ্টা চালিয়েও আর গোল পায়নি কোনো দল। নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য সমতা থাকায়; ম্যাচ গড়িয়েছে অতিরিক্ত সময়ে।

এদিন প্রথমার্ধে গোল পায়নি কোনো দলই। তবে প্রথমার্ধে ছন্নছাড়া ফুটবল খেললেও দ্বিতীয়ার্ধে খানিকটা গুছিয়ে উঠে আর্জেন্টিনা। বেশ কয়েক দফা গোলের সুযোগও তৈরি করে দলটি। তবে গোলের দেখা পাচ্ছিল না কোনো বারই। ম্যাচের ৫৬ মিনিটে দলগত প্রচেষ্টায় গোলের ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার আক্রমণ রুখে দেওয়ার সময় বল বাধা দেওয়ায় পেনাল্টির আবেদনও জানিয়েছিল আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা। তবে তাদের সেই আবেদন আমলে না নিয়ে খেলা চালিয়ে যেতে বলেন রেফারি।

এর খানিক পর ৫৭ মিনিটে ফের আক্রমণে উঠে ডি মারিয়া। গোলের উদ্দেশে শটও নেন তিনি। তবে তার সেই শট রুখে দেয় কলম্বিয়ার গোলরক্ষক। খানিক পরই তাকে কড়া ট্যাকল করে বসে কলম্বিয়ার রক্ষণ। বিদায়ী ম্যাচে ডি মারিয়ার ওপর এমন আঘাত সহ্য করতে পারেননি ঠাণ্ডা মাথার জন্য সুনাম কুড়ানো আর্জেন্টাইন কোচ লিওনেল স্কালোনিকে। মাঠের বাইরেই রেফারির ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে দেখা গেছে তাকে।

আগে বেশ কয়েক দফা ফাউলের শিকার হওয়া মেসি ৬৩ মিনিটে এসে ফের চোটে পড়েন। এ দফায় মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয় তাকে। মাঠ ছাড়ার সময় কান্না করতেও দেখা গেছে মেসিকে। এ সময় গ্যালারিতে আসা আর্জেন্টাইন সমর্থকরা দাঁড়িয়ে মেসিকে সম্মান জানিয়েছেন। 

এর খানিক পর মেসির মাঠ ছাড়াকে শক্তিতে পরিণত করে গোল পায় আর্জেন্টিনা। যদিও শেষ পর্যন্ত সেই গোলটি বাতিল হয়ে যায় অফসাইডের কারণে। এরপর ৭৯ মিনিটে গঞ্জালেস আরও এক দফা গোলের সুযোগ তৈরি করেছিলেন। তবে এ দফায় বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পারলেও কলম্বিয়ার রক্ষণকে ফাঁকি দিতে পারেননি তিনি। ম্যাচের ৮৭ মিনিটে ডি মারিয়ার ক্রস বক্সের ভেতর হেডে জালে জড়ানোর সুযোগ ছিল গঞ্জালেসের সামনে। এ দফায় ও ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তার নেওয়া সেই হেড থাকেনি গোলপোস্টে। আরও একবার হতাশ হতে হয় আর্জেন্টিনাকে। সেই হতাশা নিয়েই অতিরিক্ত সময়ে খেলা শুরু করতে হয়েছে আলবিসেলেস্তেদের।