"হামলা মামলা গ্রেফতার ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিরোধীদের ঐক্য বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার"
প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিজয়নগর পানির ট্যাংকির নিচে বিজয় চত্বর থেকে বিএনপি ঘোষিত ৮ ও ৯ নভেম্বর বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনের অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
আজ বুধবার বেলা ১১.৩০ ঘটিকায় ১২ দলীয় জোটের উদ্যোগে মিছিল শেষে সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২৮ মার্চ বিএনপির মহাসমাবেশে লক্ষ লক্ষ নিরস্ত্র মানুষের উপর পুলিশ ও যুবলীগ ছাত্রলীগের অতর্কিতে নির্মম হামলা গুলি সাউন্ড গ্রেনেড চার্জ করে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পন্ড করে দেয়া ইতিহাসের জঘন্য বর্বোরোচিত ঘটনা হিসেবে উল্লেখিত হবে। এই ঘটনার মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগ দেশে এবং বিদেশে তার অগণতান্ত্রিক অবিবেচক ফ্যাসিস্ট রূপটা স্পষ্ট করে তুলেছে। নিজেদের প্রশ্নবিদ্ধ ও বিশ্বাসঘাতক হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে।
শেখ হাসিনা সরকার নিশ্চিত পতন ঠেকানোর সব কৌশলে ব্যর্থ হয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ক্ষোভে দুঃখে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে প্রতিপক্ষ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রায় সব নেতাকে রাষ্ট্র ক্ষমতা ব্যবহার করে অযৌক্তিক ও অনৈতিকভাবে প্রতিহিংসাবশত গ্রেফতার করে আত্মতুষ্টি বোধ করছে। তারা বুঝতে পারছে না কতবড় ভুল ও অন্যায় করে দেশবাসী ও দুনিয়ার মানুষের কাছে কতটা হেয় প্রতিপন্ন ও অগ্রহলযোগ্য হয়ে উঠেছে। এই দুটি ঘটনার মধ্যে আওয়ামী সরকারের পতনের বীজ রোপিত হয়েছে। যেটা অচিরেই বুঝতে পারবে।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দমন-পীড়ন চালিয়ে একটি জাতিকে দমিয়ে রাখা যায় না। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলকে জেলে ভরে রাজপথ থেকে হটিয়ে দিয়ে ফাঁকা মাঠে নির্বাচন করে জয়লাভ করার স্বপ্নে বিভোর হয়ে পাতানো নির্বাচনের দিনক্ষণ গণনা শুরু করেছে আর জনগণ আওয়ামী সরকারের পতনের ক্ষণ গণনা শুরু করেছে। অচিরেই প্রমাণ হবে কে বিজয়ী হবে আওয়ামী লীগ নাকি জনগণ?
সভ্যতা ভব্যতার সকল রীতিনীতি বোধ হারিয়ে ভয়ংকর দানব হয়ে ওঠা হাসিনা সরকার ও আওয়ামী লীগ ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হওয়ার পরিণতি নিজেরাই নির্ধারণ করে ফেলেছে।
নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি শেষ বারের মতো আত্ম- অনুধাবন করে সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দিয়ে পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার আহবান জানিয়ে বলেন,এটাই সমঝোতার শেষ উপায়। যথেষ্ট হয়েছে আর বাড়াবাড়ি করবেন না।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ১২দলীয় জোটের সমন্বয়ক এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার নোয়াব আলী আব্বাস খান, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম,
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)এর সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, ন্যাপ ভাসনীর চেয়ারম্যান এডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি( জাগপা) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান বাংলাদেশ এলডিপির অতিরিক্ত মহাসচিব তমিজউদ্দিন টিটু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবুল বাশার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবির পিন্টু আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিব, আবু হানিফ, জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব কাজী নজরুল, হান্নান আহমেদ খান বাবলু বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান সারোয়ার আলম, শামসুল আহাদ, আবুল মনসুর, লেবার পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শরিফুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য জোটের যুগ্ম মহাসচিব ইলিয়াস রেজা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন, আতাউর রহমান, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি ফয়েজ আহমেদ, ছাত্র জমিয়তের সভাপতি আদনান আহমেদ প্রমুখ।