আপোষ করলে খালেদা জিয়া বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী থাকতেন:দুদু
আজকের সরকারও বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে অপসারণ করতে চায়।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: এক-এগারোতে মঈনউদ্দীন-ফখরুদ্দিন সঙ্গে আপোষ করলে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী থাকতেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।
তিনি বলেছেন,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমরা আপোষহীন নেত্রী বলি। তিনি অন্যায়ের সাথে আপোসহীন করেননি তিনি আজকে কারাগারের মধ্যে আছেন। দীর্ঘ প্রায় তিনটি বছর তাকে অন্যায়ভাবে বন্দি করে রেখেছে এই সরকার। তিনি(খালেদা জিয়া)আপোষ করলে জেনারেল মঈনের সঙ্গে আপোষ করলে এখন তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকতেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন ওরা(মঈন-ফখরুদ্দিন)আমার কাছেও এসেছিল। তারা যে অন্যায় করেছিল সংবিধানকে পদদলিত করে ১/১১ সৃষ্টি করেছিল তাদের সঙ্গে বেগম জিয়া কোন আপোস করতে রাজি হননি।
আজ শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়া পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মরহুম কবীর মুরাদের ২য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়ার মাহফিল প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এক-এগারো ও বর্তমান সরকারের কড়া সমালোচনা করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আপোস না করার জন্য জেনারেল মঈন তাকে(খালেদা জিয়াকে) রাজনীতি থেকে শেষ করতে চেয়েছিলেন। আজকের সরকারও বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে অপসারণ করতে চায়। মঈনউদ্দীনের কর্মসূচি বর্তমান সরকার পালন করছে। জেনারেল মঈন ছিলেন ভারতের সেবাদাস গণতন্ত্র বিরোধী একজন ব্যক্তি। গায়ের জােড়ে তিনি দুটি বছর বাংলাদেশের সংবিধানকে তছনছ করেছিলেন। আইনের শাসনকে তছনছ করেছিলেন। সেগুলোর সবকিছুকে বৈধতা দিয়েছেন বর্তমান সরকার।
অতীতের রাষ্ট্র ব্যবস্থা এবং বর্তমান রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যে ভিন্নতা আছে উল্লেখ করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আগের রাষ্ট্র ব্যবস্থা যদি সেটা সামরিক বাহিনী কর্তৃক ও হয়ে তাকে সেখানেও বিচার ব্যবস্থা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশাসন,আদালত,নির্বাচন কমিশন যতটা পরিশুদ্ধু ছিল এখন কিন্তু আদালত,নির্বাচন কমিশন এমনকি প্রশাসন একেবারেই দলীয় করণ করা হয়েছে। কোন পত্রিকা টেলিভিশন যদি বিরোধী দলের পক্ষে কিছু লিখে তাহলে সেটা বন্ধ করে দেয়া হয়।
মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে মুজিব বানানের ভূল ও শপথ বাক্য পাঠের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, কি অদ্ভুত বিষয় সেই অনুষ্ঠানে মুজিব বর্ষ বানান ভূল লেখা হয়েছে কিন্তু কেন ভূল হয়েছে তার কোন যৌক্তিক কারন বলা হয়নি। তার সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের নিশীরাতের প্রধানমন্ত্রী এবং তার বোন শপথ বাক্য পাঠ করেছেন যেখানে নামই ঠিক নাই সেখানে কি শপথ ঠিক আছে? অশুদ্ধ বানানে শপথ কি শুদ্ধু হয়? সেজন্য অনেকেই বলছেন যিনি নিজেই বৈধ না তার নিজেরই শপথ ঠিক নাই তাহলে অন্যের শপথ তিনি কিভাবে পাঠ করান?
কবির মুরাদের স্মৃতিস্মারণ করে তিনি আরও বলেন,'বেগম জিয়া যখন যেটা করেছেন সেটারই স্বপক্ষে ছিলেন কবির মুরাদ।কোন অবস্থাতেই তিনি বাহিরে যাননি।যার কারনে অনেক সময় তার উপর নির্যাতন নেমে এসেছিল।
জিয়া পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডাঃ আবদুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন, জিয়া পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ড.এমতাজ হোসেন, সহ সভাপতি প্রফেসর ড.শফিকুল ইসলাম, এম.জহীর আলী, প্রকৌশলী রুহুল আলম ,মিলিমা রহমান মিলি ,শহীদুল হক শহীদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুদস সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ ।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: