সড়ক দুর্ঘটনার দায়ে পদত্যাগ করলেন নিউজিল্যান্ডের আইনমন্ত্রী
প্রথম নিউজ, আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পদত্যাগ করেছেন নিউজিল্যান্ডের আইনমন্ত্রী কিরি অ্যালান। বেপরোয়া ড্রাইভিং ও সড়ক দুর্ঘটনায় জড়িত থাকা সত্ত্বেও গ্রেফতার এড়ানোর চেষ্টায় অভিযুক্ত হওয়ার পর সোমবার (২৪ জুলাই) তিনি নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এর মাধ্যমে নির্বাচনী বছরে মন্ত্রিসভা ছেড়ে দেওয়া চতুর্থ কিউই মন্ত্রী হলেন তিনি।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার (২৩ জুলাই) স্থানীয় সময় রাত ৯টার দিকে নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েলিংটনে একটি সড়ক দুর্ঘটনার জন্য অ্যালানকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরপরই দেশটির প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স জানান, কিরি অ্যালান তাৎক্ষণিকভাবে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে কিউই প্রধানমন্ত্রী বলেন, অ্যালানের বিরুদ্ধে সড়ক মোটর গাড়ির বেপরোয়া ব্যবহার ও এক পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে থানায় না যেতে চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একইসঙ্গে তার নিঃশ্বাসে অতিরিক্ত অ্যালকোহলের উপস্থিতি সনাক্ত হয়েছে। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর বিষয়ে একটি নোটিশও পেয়েছেন কিরি।
হিপকিন্স আরও বলেন, অ্যালান কিরি বেশ কয়েক মাস ধরেই মানসিক স্বাস্থ্যসংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছেন। তার সাম্প্রতিক ব্যক্তিগত সংগ্রামের কথা ভালোভাবে নথিভুক্ত করেছে পুলিশ। তাতে দেখা গেছে, অ্যালানের কিছু সমস্যা রোববার চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল।
এক বিবৃতিতে অ্যালান বলেছেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আমি বেশ কয়েকটি ব্যক্তিগত সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। আমি সেগুলো ঠিকমতো মোকাবিলা করার জন্য সময় নিচ্ছিলাম। আমার বিশ্বাস ছিল, একজন মন্ত্রী হওয়ার চাপের পাশাপাশি আমি সেই চ্যালেঞ্জগুলো ভালোভাবেই মোকাবিলা করতে পারবো। তবে আমার গতকালের কর্মকাণ্ড এটিই দেখিয়েছে যে, আমি ঠিক নেই। ওই সড়ক দুর্ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
জানা যায়, নিউজিল্যান্ডের আইনমন্ত্রীর পাশাপাশি আঞ্চলিক উন্নয়নমন্ত্রী, সংরক্ষণমন্ত্রী ও জরুরি ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্বপালন করেছেন কিরি অ্যালান। মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার কারণে কিছুদিন ছুটি কাটিয়ে গত সোমবার সংসদীয় দায়িত্বে ফিরে আসেন তিনি। কিরি অ্যালানকে অবশ্য একবার পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডার্নের সম্ভাব্য উত্তরসূরি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। তবে অ্যালান সেসময় বলেছিলেন, রাজনীতিতে নিজের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভাবতে তিনি কিছুটা সময় নেবেন। চলতি বছরের অক্টোবরে দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ও জনমত জরিপে প্রধান বিরোধী দল ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে ক্ষমতায় থাকা লেবার পার্টির তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।