সিলেটে স্বামী-স্ত্রীর মনোনয়ন জমা
আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ জুন।
প্রথম নিউজ, সিলেট: আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ জুন। এই ভোটযুদ্ধকে সামনে রেখে মনোনয়নপত্র দাখিল করছেন এক দম্পতি।
সিলেট নগরীর টিলাগড়ের বাসিন্দা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সিলেট সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল হানিফ কুটু তার মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন মেয়র পদে। আর তার স্ত্রী সিসিকের বর্তমান কাউন্সিলর (সংরক্ষিত-৭) নাজনীন আক্তার কণা আবারও একই পদের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মঙ্গলবার (২৩ মে) তারা সিলেট মেন্দিবাগস্থ নির্বাচন কার্যালয়ে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করেছেন ১১ জন। এরমধ্যে দলীয় প্রতীকের প্রার্থী চারজন। আর স্বতন্ত্র সাত প্রার্থীর একজন আব্দুল হানিফ কুটু।
আব্দুল হানিফ কুটু আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও দলের ওপর ক্ষোভ থেকে প্রার্থী হয়েছেন বলে মনে করছেন অনেকেই। স্থানীয় ১০ জন নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও শেষমেশ নৌকা ভাগিয়ে নেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। কী কারণে প্রার্থী হয়েছেন সেটি জানতে আব্দুল হানিফ কুটুর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এদিকে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে নাজনীন আক্তার কণা বলেন, আমি গতকাল মঙ্গলবার নমিনেশন ফরম জমা দিয়েছি। আগামীকাল যাচাই-বাছাই হবে। আমি দীর্ঘদিন থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। এবারও আমার ওয়ার্ডের মানুষের ভোট প্রত্যাশা করছি। তাদের ভালোবাসায় আমি আবারও বিজয়ী হব ইনশাআল্লাহ।
একই ঘরে দুজন প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামী আমার বিয়ের আগে থেকে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আর আমি কাউন্সিলর পদে। এটি সম্পূর্ণ তার ব্যক্তিগত বিষয়। উনি ৪২টি ওয়ার্ডে উনার কার্যক্রম চালাবেন আর আমি আমার ওয়ার্ডে।
প্রসঙ্গত, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গতকাল মঙ্গলবার মনোনয়ন জমাদানের শেষ দিন পর্যন্ত ৩৮৭টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। এরমধ্যে মেয়র পদে ১১ জন, সংরক্ষিত ১৪টি ওয়ার্ডে ৮৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ২৮৭ জন।