সোনারগাঁয়ে প্রেমিকাকে গলা কেটে হত্যা : দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি
আসামি হিসেবে সেলিমকে গ্রেপ্তার করে রযাব। সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ বলেন, রোববার (১৯ মার্চ) সকালে সেলিমকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। বিকেলে এই মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান মোল্লার আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দিতে দেওয়া তথ্যের বরাতে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, রোজিনা আক্তার বিবাহিত ছিলেন। তিনি ঢাকা থাকতেন। কয়েক মাস পূর্বে রোজিনার ডিভোর্স হয়। এরপর সে ঢাকা থেকে এসে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গাউছিয়া এলাকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। ওই কারখানায় চাকরি করতেন সেলিমও। বয়সের পার্থক্য থাকলেও তাদের মধ্যে চাকরির সুবাদে সখ্যতা ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তারা একে-অপরকে বিয়ে করবে বলেও সম্মতি দেয়। কিন্তু সেলিমের অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়। সোমবার (২০ মার্চ) সেলিমের বিয়ের হওয়ার কথা। এই বিয়ে ভেঙে দিয়ে তাকে বিয়ের জন্য সেলিমকে চাপ দেয় রোজিনা। তখনই রোজিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করে সেলিম। গত বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় গাউছিয়া এলাকায় তারা ঘোরাঘুরি করে। সেখানের ফুটপাত থেকে একটি ধারালো ছুরিও কেনে সেলিম। জিজ্ঞেস করলে সে রোজিনাকে বলে, ফল কাটার জন্য
ছুরি কিনেছেন। পরে রোজিনাকে নিয়ে সোনারগাঁয়ের গজারিয়াপাড়া এলাকায় আসে
সেলিম। ওইখানেরই একটি খোলা নির্জন স্থানে রোজিনার গলাকেটে হত্যা করে
সেলিম। শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে রোজিনার লাশ উদ্ধারের পর সেখান থেকে রক্তমাখা
ছুরি পাওয়া যায় বলে জানান আহসান উল্লাহ। তিনি আরও বলেন, ওই নারীর ভ্যানিটি ব্যাগে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রের সূত্র ধরে তার মুঠোফোনের নম্বর খুঁজে বের করা হয়। সেই তথ্য যাচাই-বাছাই করে সেলিম ও সাইফুল নামে দুইজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করা হয়। সাইফুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে এবং সেলিমকে র্যাব গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। এই মামলায় সেলিম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর আসামি সাইফুলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।