সিইসির বক্তব্য সকালে এক বিকেলে আরেক: তথ্যমন্ত্রী
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সকালে এক কথা, বিকেলে আরেক কথা বলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে বিএনপি ‘নতুন কোনো ব্যবস্থায়’ নির্বাচনে এলে আপত্তি নেই বলে করা সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের বক্তব্য নাকচ করে দেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, যেসব দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র আছে সেখানে যেভাবে নির্বাচন হয় এখানেও সেভাবে হবে। সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্বে থাকবে। এসময় সিইসির বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন তিনি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইসির বক্তব্য সকালে এক, বিকেলে আরেক। তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে পারবো না।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র যেসব দেশে আছে সেখানে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও একইভাবে নির্বাচন হয়। ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইউকে ও ইউরোপের দেশগুলোতেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংসদীয় গণতন্ত্র বিদ্যমান। সেসব দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় অর্থাৎ যে সরকার দেশ পরিচালনা করে আসছিল তারাই নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করে। আমাদের দেশেও তাই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের স্লোগান দিয়ে, স্বপ্ন দেখে কোনো লাভ হবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য তো সকাল বেলা একটা থাকে বিকেল বেলা আরেকটা। একটি বক্তব্য দেওয়ার পরে আবার পরে সেটি তিনি (সিইসি) প্রত্যাহার করেন। সুতরাং এ নিয়ে আমি ব্যাখ্যা দিতে পারব না, তিনি ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।
নড়াইলে ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নড়াইলের ঘটনার পর সেখানে অভিযুক্ত যে ছেলেটির পোস্টের মাধ্যমে এই ঘটনাটি ঘটেছে, তার বাবাকে এবং হামলার অভিযোগে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া চলছে। এর পেছনে কারা ইন্ধন দিয়েছে, সেটিও খতিয়ে বের করা হবে। অতীতে যেমন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এক্ষেত্রেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং সমস্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা গ্রামের পর গ্রাম নির্যাতন চালিয়েছিল, জ্বালিয়ে দিয়েছিল। আমাদের দলীয় কার্যালয়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য আমাদের লঙ্গরখানা খুলতে হয়েছিল, আশ্রয় কেন্দ্র খুলতে হয়েছিল। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তখন আশ্রয় কেন্দ্র খুলতে হয়েছিল।
‘ধর্মীয় অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি। সেই প্রধান পৃষ্ঠপোষক দলের মুখপাত্র হচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাই যিনি প্রধান পৃষ্ঠপোষকদের মুখপাত্র, তিনি এ ধরনের কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাবেন, সেটি খুবই স্বাভাবিক। এ ধরনের ঘটনা যখন ঘটেছে আমাদের সরকার তখনই তড়িৎ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কারণ আমাদের দল অসাম্প্রদায়িক দল, আমাদের দল অসাম্প্রদায়িকতাকে লালন করে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, এই ধরনের ঘটনা ঘটার পেছনে সব সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ফেসবুক। আমি মনে করি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দায়-দায়িত্ব আছে। এই যে ঘটনাগুলো ঘটে, ফেসবুকে মিথ্যা পোস্ট দিয়ে তারপর সেটিকে গুজব রটিয়ে দিয়ে সেটির মাধ্যমে যে ঘটনা ঘটালো, এটির জন্য তো সার্ভিস প্রোভাইডারদের দায়িত্ব আছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:
https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en
https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews