শর্ত সাপেক্ষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যোগ দেয়ার ইঙ্গিত ট্রাম্পের
প্রথম নিউজ, অনলাইন ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহারের একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করার এক সপ্তাহ পরে সেখানে পুনরায় যোগদানের কথা ভাবছেন। লাস ভেগাসে এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, আমরা এটা নিয়ে আবার ভাবতেই পারি। আমি জানি না ঠিক, হয়তো… তবে ওদের বিষয়টা পরিষ্কার করতে হবে।' ঠিক কী পরিষ্কার করার কথা বলতে চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট? আসলে তার দাবি, ‘আমরা বছরে ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিই। অথচ চীন দেয় ৩৯ মিলিয়ন। ভেবে দেখুন একবার! ওদের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি!’
এরপরই তিনি বলেন, ‘ওরা (ডব্লিউএইচও) বলেছে আমাকে ৩৯ মিলিয়ন দিলেই হবে। অর্থাৎ ৫০০ মিলিয়ন থেকে কমিয়ে ৩৯ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব। কিন্তু আমি তা প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছি। তবে বিষয়টা নিয়ে ভাবা যেতেই পারে। কিন্তু পুরো ব্যাপারটা পরিষ্কার করতে হবে।’ আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পর ট্রাম্প রেকর্ডসংখ্যক এক্সিকিউটিভ অর্ডারে সই করেছেন। নিঃসন্দেহে যার অন্যতম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে নাম সরানো।
এদিকে ডব্লিউএইচও থেকে আমেরিকা সরে দাঁড়ানোয় সংস্থাটি চাপে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৮ সাল থেকে ডব্লিউএইচও-তে একটি বড় আর্থিক অবদানকারী। কেননা বাইডেন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন এর মোট বাজেটের এক-পঞ্চমাংশই এসেছে মার্কিন তহবিল থেকে। সেক্ষেত্রে আমেরিকা সরে গেলে বাজেটে ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা সমূহ।
অন্যদিকে ডব্লিউএইচও থেকে সরে যাওয়ায় মার্কিন নাগরিকদেরও সমস্যা হবে। কেননা তারা বিশ্বের সবচেয়ে ছোঁয়াচে প্রাণঘাতী অসুখ যক্ষ্মা অথবা এইচআইভি/এইডসের মতো অসুখে বা অন্যান্যা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত আপৎকালীন পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে