শনিবার আরও ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস

শনিবার আরও ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বিরতির দ্বিতীয় দিন শনিবার আরও ১৩ জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। শনিবার যাদের মুক্তি দেওয়া হবে, তাদের নামের তালিকা ইতোমধ্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস।

তবে এ দিন মোট কতজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে, তা ইসরায়েল, হামাস বা দু’পক্ষের মধ্যে চলমান যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারী দুই দেশ কাতার এবং মিসর— কেউই স্পষ্ট করেনি। সেই সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এই দিন কত জন কারাবন্দি ফিলিস্তিনিকে বাড়ি ফিরে যেতে দেবে ইসরায়েল— তাও এখনও জানা যায়নি।

যুদ্ধবিরতির প্রথম দিন মোট ২৪ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল দিয়েছে হামাস। এই ২৪ জনের মধ্যে ১৩ জন ইসরায়েলি, ১০ জন থাইল্যান্ড এবং ১ জন ফিলিপাইনের নাগরিক। ইসরায়েলি নাগরিকদের সবাই নারী ও শিশু।

শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা) রাফাহ ক্রসিংয়ে আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিস্টে কমিটির প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল এই জিম্মিদের। শনিবার যাদের মুক্তি দেওয়া হবে, তাদের ক্ষেত্রেও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হবে।

একই দিন শুক্রবার ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলীয় শহর হাইফার ডেমন ও মেগিডো কারাগার থেকে ৩৯ জন কারাবন্দি ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেয় ইসরায়েল। এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ২৪ জন নারী এবং ৩৪ জন কিশোর-কিশোরী।

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনী।

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার চালানোর দিন এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে শত শত সামরিক-বেসামরিক মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে গিয়েছিলেন হামাসের যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন।

এক বিবৃতিতে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মধ্যে ৩০ জন থাই নাগরিক আছেন। তাদের প্রায় সবাই ইসরায়েলের বিভিন্ন কৃষি খামারের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন তারা।

শুক্রবার ২৪ জিম্মি মুক্তি পাওয়ার পর এক ভাষনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমরা কেবলমাত্র জিম্মিদের প্রথম ব্যাচকে মুক্ত করতে পেরেছি। শিশু, তাদের মা এবং অন্যান্য নারীরা… প্রত্যেকে নিজেই এক একটি পৃথিবী। আমি ইসরায়েলের প্রত্যেক নাগরিক এবং জিম্মিদের পরিবারের সদস্যদের জোর দিয়ে বলছি, আমরা প্রত্যেক জিম্মিকে মুক্তি দিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সেই প্রতিশ্রুতি আমরা রক্ষা করব।’