শৈত্যপ্রবাহে কাবু কুড়িগ্রামের জনজীবন
শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস কর্তৃপক্ষ।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: মাঘের মাঝামাঝি সময়ের তীব্র শীতে কাবু হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের জনপদ। কয়েকদিন শীতের স্বাভাবিক অনুভূতি বিরাজ করার পর জেলাজুড়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস কর্তৃপক্ষ।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার সকাল ৯টায় সেই তাপমাত্রা ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে উত্তরীয় হিমেল হাওয়ার মাত্রা বাড়তে থাকে, যা শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এতে করে শুক্র ও শনিবার দুদিন ধরে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ চলমান রয়েছে। এর ফলে কনকনে ঠান্ডার মাত্রা বেড়ে যায়। যা আগামী সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এতে করে কনকনে শীত ও হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে মানুষজন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত শুরুর পরই জেলা জুড়ে নামছে শীতের পারদ। ঘন কুয়াশায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। শীত ও কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন খেটেখাওয়া দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষজন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই।
শীতবস্ত্রের অভাবে ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়েছেন জেলার সাড়ে চার শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষসহ শিশু ও বৃদ্ধরা। একই পরিস্থিতি নদ-নদী সংলগ্ন বাঁধে আশ্রয় নেওয়া মানুষজনেরও। শীতে গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। শীত উপেক্ষা করেই জীবন জীবিকার সন্ধানে ছুটে চলছেন শ্রমজীবী মানুষজন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, জেলার নয়টি উপজেলার শীতার্তদের জন্য এক কোটি আট লাখ টাকার কম্বল ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আসা ৩৫ হাজার ৭০০ কম্বল পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া, আরও প্রায় ছয় হাজার সোয়েটার ও পাঁচ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: