রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলে আসছেন নেতাকর্মীরা

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল শহরের ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা

রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলে আসছেন নেতাকর্মীরা
আসছেন নেতাকর্মীরা

প্রথম নিউজ, ঢাকা : রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল শহরের ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে জড়ো হচ্ছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। আজ ভোর থেকেই রাজশাহী ও আশপাশের জেলা-উপজেলা থেকে বাস-ট্রাক ও ট্রেনযোগে শহরে আসেন তারা। এরপর খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে হাজির হন তারা। এসময় তারা স্লোগানে-স্লোগানে মুখর করে তুলেন রাজশাহী নগরী। সর্বসাধারণের জন্য জনসভাস্থল সকাল ৮টার পর খুলে দেয়া হয়। তবে  ভোর থেকেই রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে মিছিল নিয়ে মাদরাসা মাঠে প্রবেশের মূল গেইটে হাজার হাজার নেতাকর্মী জড়ো হন। বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নানা রঙের টি-শার্ট, গেঞ্জি, টুপি পরেন। স্লোগান, বাদ্যযন্ত্রে জনসভাস্থলে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ।

এদিকে রোববার সকাল ১০টায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদা, রাজশাহীতে পাসিং প্যারেড পরিদর্শন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পরে দুপুর আড়াইটায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন তিনি।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সমাবেশে ৫ থেকে ৭ লাখ মানুষের সমাগম হবে। প্রায় চার একর জমির এই সমাবেশস্থলে পশ্চিম দিকে ৫ হাজার বর্গফুটের নৌকা আকৃতির মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশকে ঘিরে ২টি বড় বড় পানির ট্যাংক ছাড়াও শহরের বেশ কয়েকটি স্থানে ৫ লাখ পানির বোতল রাখা হয়েছে। ৭টি ট্রেন ভাড়া করে জয়পুরহাট, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে নেতাকর্মীদের নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়াও, বাস-ট্রাকে করে অন্যান্য এলাকা থেকে মানুষ আসছেন। শহরের চলমান ট্রাফিক ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। দূর থেকে আসা বাস-ট্রাকগুলো রাখার জন্য প্রধান প্রধান সড়কের একটি করে লেন ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসানুল হক পিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে নেতা কর্মীরা মাঠে আসতে শুরু করেছেন। বিভাগের আট জেলা থেকে এ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী এতে যোগ দেবেন। সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই আমরা জনসভা শুরু করবো।

    জনসভায় যাওয়ার জন্য বিশেষ ট্রেন ভাড়া করা হয় নেতা কর্মীদের আর্থিক সহ অন্যান্য সুযোগ দেয়া হয়, প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগিতা পাওয়া যায় সব ঠিক আছে কিন্তু বিরোধী দল যখন সভা করতে যায় তখন কেন খুবই ন্যাক্কার জনকভাবে বৈরী আচরন করা হয় । আপনারাই নৈতিকতা বোধ থেকে বলেন এটা কি ঠিক ?

    বিএনপি বলে আওয়ামীলীগ কে জনগণ পছন্দ করে না। জাতীয় পার্টি বলে দেশের এই দুই দলের প্রতি জনগণের আস্থা নাই। একমাত্র তাদের প্রতি জনগণের আষ্থা আছে । আওয়ামীলীগ কে যদি জনগণ পছন্দ ই করে না তাহল সভায় লোক আসছে কেন ? আমিও ভাবি বিগত ৪২ বছরে দেশের যত উন্নয়ন হয়েছিল শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত দশ বছরে বিশ পঁচিশ গুণ বেশি উন্নয়ন হয়েছে । তারপরও জনগণ পছন্দ করেনা তা আশ্চর্যের ব্যাপার।