রাজারবাগ পীরকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা
বর্তমানে রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে যে মিডিয়া কুৎসা রটনা চলছে তাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠী মর্মাহত।
প্রথম নিউজ, ঢাকা: রাজারবাগ পীরকে রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী উলামা পরিষদ। একইসঙ্গে পরিষদটি রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে জামাত-শিবির প্রভাবিত কুচক্রী মহলের অপপ্রচার বন্ধের দাবিও জানান।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এসব দাবি ও হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমানে রাজারবাগ দরবার শরীফের বিরুদ্ধে যে মিডিয়া কুৎসা রটনা চলছে তাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠী মর্মাহত। কারণ রাজারবাগ দরবার শরীফের পীর ১৯৭১ সালে ছাত্র অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। খাদ্য সহায়তা ও আর্থিক সহায়তা করেছেন। উনার আপন ভাই ও ঘনিষ্ট আত্মীয়-স্বজনরাও মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন। পীরের মেজ ভাই হাফিজুর রহমান হারুণ সেক্টর-২ এর অধীনে ক্র্যাক প্ল্যাটুনের একজন গেরিলা যোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আবেদন, তিনি যেন জামাত-জঙ্গীবাদ বিরোধী দরবার শরীফ, রাজারবাগ শরীফের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যথাযথো ব্যবস্থা নেন।
সিআইডি মিথ্যা রিপোর্ট দিয়েছে মন্তব্য করে তারা বলেন, রাজারবাগ দরবার শরীফ সম্পর্কে সিআইডির মত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে কিভাবে মিথ্যা রিপোর্ট দিতে পারলো তা ভাবতেও অবাক লাগে। সিআইডি রিপোর্ট দিয়েছে, রাজারবাগ দরবার শরীফের পেছনে ৩ শতাংশ জমির উপর তিনতলা বাড়ি দখলের জন্য কাঞ্চনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। অথচ প্রকৃত সত্য হলো, রাজারবাগ দরবার শরীফের পেছনে ৩ শতক জায়গায় কোনো বাড়িও নেই এবং কোনো ৩ তলা বিল্ডিংও নেই। এরূপ মিথ্যা তথ্য রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা সিআইডি কি করে হাইকোর্টে পাঠাতে করতে পারলো এটা তদন্তের জন্য আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।
বক্তারা বলেন, রাজারবাগ শরীফ সম্পর্কে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট দিয়েছে সেটাই বর্তমান পৃথিবীতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। কারণ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সম্পূর্ণ রিপোর্টে কোথাও রাজারবাগ শরীফের কোনো বক্তব্য নেই, রাজারবাগ শরীফের সাথে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি এবং কোনো জিজ্ঞাসাও করা হয়নি, আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেয়া হয়নি।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররম মসজিদের প্রধান মুয়াজ্জিন আলহাজ্জ্ব মাওলানা ক্বারী কাজী মাসউদুর রহমান, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাও: আ: সাত্তার, বাংলাদেশ ওলামা লীগের সেক্রেটারী আলহাজ্জ্ব মাও: আবুল হাসান শেখ শরীয়তপুরী প্রমুখ।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: